ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষকের মারপিটে ছাত্রী হাসপাতালে

প্রকাশিত: ০৩:২০, ৬ মে ২০১৬

শিক্ষকের মারপিটে  ছাত্রী হাসপাতালে

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ শিক্ষকের নির্দয় মারপিটে গুরুতর আহত স্কুলছাত্রী জয়ার চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। কলারোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী জয়াকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহফুজুর রহমান বেদম মারপিট করলে সে গুরুতর আহত হয়। বুধবার ক্লাস চলাকালে শিক্ষক তাকে মারপিট করেন। জয়া কলারোয়া গার্লস হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। জয়া জানায়, তার সহপাঠী এক বান্ধবীর কলম মেঝেতে পড়ে গেলে সে তা তুলে নিয়ে লিখছিল। এ সময় শিক্ষক মাহফুজ এসে তাকে মারপিট করেন। এতে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জয়ার মা চম্পা খাতুন জানান, প্রথমে তাকে কলারোয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। তিনি জানান, একবার মাত্র ডাক্তার এসে তাকে দেখে যান। মেয়ের অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের ডাক্তার ডেকে না পাওয়ায় পরে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তাকে স্থানীয় শফি ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুজ্জামান বিপ্লব জানান, মেয়েটি স্কুলে না খেয়ে এসেছিল। শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মেয়েটি ক্লাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার কক্ষে নিয়ে আসা হয়। তাকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরে তাকে তার চাচা বাড়িতে নিয়ে যান। তাকে মারধর করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। তবে মারপিটকারী শিক্ষক মাহফুজুর রহমান মেয়েটিকে একটি বাড়ি মারার কথা স্বীকার করে জানান, ক্লাস চলাকালে মেয়েটি পেছনের বেঞ্চে বসে খাতায় অংকন করছিল। তাকে বকা দিয়ে লাঠির একটি বাড়ি মারেন বলে তিনি স্বীকার করেন। এতে কোনভাবেই আহত হবার কথা নয় বলে তিনি দাবি করেন। আহত ছাত্রী জয়ার বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘তার মেয়ের অবস্থা খুবই খারাপ। অথচ দায় এড়াতে প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত শিক্ষক মিথ্যাচার করছেন।
×