ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

একই পরিবারের নিখোঁজ তিন শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৩:০১, ৫ মে ২০১৬

একই পরিবারের নিখোঁজ তিন শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ শিশুটির ওঁড়না পুকুরের জলে ভেসে উঠলে গ্রামবাসি মধ্যে আতস্ক সৃষ্টি হয়। লালমনিরহাট সদর হতে ফায়ার সার্ভিস এসে একই পরিবারের তিন ভাই বোন কে ভূ-গর্ভস্থ্য বালু তোলার গভীর খাদের পুকুর হতে একে একে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলা সদরের গোকুন্ডা ইউনিয়নে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় । নিহত শিশুরা হলেন, মিম (১১), কুসুম (৮) ও নায়েম (৮) । নিহতের পবিবার ও হাসাপাতাল সুত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের তালুক মৃতিঙ্গা গ্রামের আপন দুই ভাই মিন্টু মন্ডলের স্কুল পড়ুয়া দুই কন্যা শিশু মিম ও কুসুম। একই গ্রামের প্রতিবেশী ভাই ইকবাল মন্ডলের শিশু পুত্র নায়েম সকাল ১১ টা হতে নিখোঁজ থাকে। পরিবারের লোকজন ভেবে নিয়ে ছিল ৭ মে গোকুন্ডায় ইউপি নির্বাচন হযতো কোন প্রচার দলের পিছুনিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। দুপুরে বাড়িতে খাবার খেলে না আসায় চিন্তায় পড়ে যায় স্বজনরা। এরমধ্যে ভু গর্ভস্থ্য বালু তোলায় সৃষ্ট গভীর এক পুকুরের পানিতে ওঁড়না ভেসে উঠে। স্থানীয়রা পুকুরের পানিতে শিশুদের খোঁজতে নেমে পড়ে । কিন্তু তাদের সন্ধান মিলেনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করে। স্বজনরা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় তিন শিশুকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত্যু ঘোষনা করেন। পরে বিকাল সাড়ে ৩টায় লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীতে নিহত তিন শিশুর লাশ বাড়ীতে পৌচ্ছে দেয়া হয়। এই ঘটনায গ্রামটিতে শোকের ছায়া নেমে এসছে। নিহত তিন শিশু স্থানীয় তালুক মৃতিঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে। সদর থানার ওসি মাহফুজুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য, জেলার পাটগ্রামসহ যত্রতত্রে কম খরচে সেচ পাম্পের মেশিন দিয়ে ভূ গর্ভস্থ্য বালু তোলা হয়। এই ভূ গর্ভস্থ বালু ও নূড়ি পাথর তোলার গভীর খাদে পড়ে প্রতিবছর কম পক্ষে ৫ হতে ১৫টি শিশু প্রান হারায়।
×