ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কারাগার থেকে হাসাপাতালে এমএ মান্নান

প্রকাশিত: ০২:৫১, ৫ মে ২০১৬

কারাগার থেকে হাসাপাতালে এমএ মান্নান

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর ॥ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের (জিসিসি) মেয়র (সাময়িক বরখাস্ত) অধ্যাপক এমএ মান্নানকে বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, নাশকতার দুই মামলায় আদালতে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুরের পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অধ্যাপক এমএ মান্নানকে চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে পুলিশ প্রহরায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। বুধবারই আদালত হয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর সকল ব্যবস্থা করা হলেও ওইদিন ঢাকায় যাওয়ার পুলিশ না পাওয়ায় কারাগারে ফেরত নেয়া হয়। কাশিমপুর কারা হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এমএ মান্নান ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, কিডনী ও হৃদরোগ ছাড়াও শারিরীক দূর্বলতায় ভ’গছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো: রবিউল ইসলাম জানান, গাজীপুরের জয়দেবপুর ও কালিয়াকৈর থানার দুটি নাশকতার মামলায় বুধবার দুইটি পৃথক আদালত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক রখাস্তকৃত মেয়র এম এ মান্নানের মোট তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল রাতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় পুলিশ এমএ মান্নানকে গ্রেফতার করে। এদিকে একই তারিখে টঙ্গী ও কালিয়াকৈর থানার গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে গাজীপুরে বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়র এম এ মান্নান গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আদালত কতৃর্ক অভিযোগপত্র গৃহিত হলে ওই বছরের ১৯ আগষ্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। গ্রেফতারের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ। এদিকে গত ২ মার্চ অধ্যাপক মান্নান জামিনে মুক্তি পান। অধ্যাপক এমএ মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করে দেওয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ ১১এপ্রিল ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরে ১৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রীমকোর্টে আপীল করলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বহাল রাখেন। এদিকে অপর একটি মামলায় আদালত কতৃর্ক অভিযোগপত্র গৃহিত হলে ১৯ এপ্রিল তাকে ফের সাময়িক বরখান্ত করা হয়।
×