ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত ৬০ হাজার শিশুর জন্য আসছে নতুন

প্রকাশিত: ২৩:৪৬, ৫ মে ২০১৬

ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত ৬০ হাজার শিশুর জন্য আসছে নতুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক বলেছেন, দেশের ২০ লাখ গৃহকর্মীর শ্রম অধিকার ও শ্রম মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সরকার যে সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা করেছে তা শিগগিরই আইনে পরিণত করা হবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত ৬০ হাজার শিশুর জন্য সরকার নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আসন্ন বাজেটে এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পর্কে মালিক ও শ্রমিক উভয়পক্ষেরই সচেতনতার অভাব রয়েছে। কিছু কিছু মালিক ট্রেড ইউনিয়নের নাম শুনলেই ভয় পান। আবার শ্রমিকেরাও নিজেদের অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নন। এজন্য মালিক ও শ্রমিক নেতাদের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন জরুরী। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে আয়োজিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) সাধারণ সভা ও সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিলসের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সিরাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান। বিলসের ভাইস চেয়ারম্যান শিরীন আখতার এমপির পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে আইএলও কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রেড্ডি, সলিডারিটি সেন্টারের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর অ্যালেঞ্জ সুসন, এফইএস’র বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধি ফ্রান্সিসকা কর্ন, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়কারী আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। উল্লেখ্য, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় চলমান ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে সহযোগিতার লক্ষ্যে দেশের অগ্রগণ্য ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে ১৯৯৫ সালে বিলস প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে দেশের প্রধান ১৩টি জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন বিলসের সহযোগী সংগঠন। শুধু ট্রেড ইউনিয়ন করার প্রবণতার সমালোচনা করে অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে শ্রমিক নেতা ও সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কিছু কিছু শ্রমিক নেতা শুধু ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্যই ব্যস্ত থাকেন। শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার, বকেয়া বেতন-মজুরি আদায়ে তাদের কোনো মনোযোগ নেই। নেতাদের সহযোগিতার অভাবে অনেক শ্রমিক শ্রম আদালতে তার মামলা কার্যক্রম শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন করতে পারেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা বাড়ানোর চেয়ে কার্যকর ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। ###
×