ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারী সীমান্তে দুর্বৃত্ত্বরা এক শিশুর চোখ ও কিডনী কেটে নিয়ে হত্যা করেছে

প্রকাশিত: ২০:১৪, ৫ মে ২০১৬

নীলফামারী সীমান্তে দুর্বৃত্ত্বরা এক শিশুর চোখ ও কিডনী কেটে নিয়ে হত্যা করেছে

স্টাফ রির্পোটার, নীলফামারী ॥ নয় বছরের শিশু মেয়ে ইয়াছমিন। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের দিনমজুর ইয়াছিন আলী ও মজিরন বেগমের একমাত্র সন্তান। পহেলা মে সন্ধ্যায় নিখোঁজ হওয়া শিশুটির দুইটি চোখ ও দুইটি কিডনী কেটে নিয়ে হত্যা করেছে দৃর্বৃত্ত্বরা। হত্যার পর লাশ ফেলে গেছে তিস্তা নদীর ভারত সীমান্তের একটি ভুট্রাক্ষেতে। সেই সাথে শিশুটিকে গণধর্ষনের আলামতও পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার বিকালে ওই শিশুর লাশের সন্ধ্যান মেলে নীলফমারীর তিস্তা নদী সীমান্তের একটি ভুট্টা ক্ষেতে। সেদিন রাত আটটা পর্যন্ত ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ ও বিএসএফের শিংপাড়ার জোয়ানদের সাথে বাংলাদেশের ডিমলা থানা পুলিশ ও পূর্বছাতনাই থানারহাট বিজিবি ক্যাম্পের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ভারতের মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশ ওই শিশুটির লাশ তাদের জিম্মায় নিয়ে গেছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের কুচবিহারের মর্গে আজ বৃহস্পতিবার লাশের ময়না তদন্ত করা হবে। এরপর আগামীকাল শুক্রবার পুনরায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ ফেরত দেবে বাংলাদেশে। ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমিন খাঁন। এলাকাবাসী জানায় ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ইয়াছমিনের বাবা ও মা ক্ষেতে দিনমজুরী কাজে গেলেও তখনো বাড়ি ফিরেনি। এ সময় ৫ জন অপরিচিত লোক এসে ইয়াছমিনকে তার বাবা ও মা ক্ষেতে ডাকছে বলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। শিশুটির সন্ধ্যানে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
×