ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে রিয়াল

প্রকাশিত: ১৯:৫০, ৫ মে ২০১৬

সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে রিয়াল

অনলাইন ডেস্ক॥ ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ব্রাজিলের মিডফিল্ডার ফের্নান্দোর একমাত্র আত্মঘাতী গোলে জয়ের আনন্দে মাঠ ছাড়ে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর আবারও ‘অল স্প্যানিশ’ ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে ফুটবলপ্রেমীরা। আগামী ২৮ মে মিলানের সান সিরোয় আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে একাদশ শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামবে রোনালদো-বেলরা। দুই বছর আগে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী দলটিকেই ৪-১ গোলে হারিয়েই দশম শিরোপা জিতেছিল রিয়াল। সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হওয়ায় রিয়ালের মাঠে ফিরতি লেগে ১-১ গোলে ড্র করলেই প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠতো সিটি। কিন্তু ইংল্যান্ডের দলটি গোলের তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। পুরো ম্যাচে মোট ১৫টি শট নেওয়া রিয়ালের ৫টি লক্ষ্যে ছিল, সেখানে সিটির পাঁচ শটের মাত্র একটিই ছিল গোল বরাবর। ২০১২ সালে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে গ্রুপ পর্বে দুই দলের সবশেষ মুখোমুখি লড়াইয়ে দুবার এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে হেরে যায় সিটি। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর শেষ মুহূর্তের গোলেই জয় নিশ্চিত হয়েছিল স্বাগতিকদের। সেরা তারকা এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড চোট কাটিয়ে দলে ফেরায় আত্মবিশ্বাসী হয়েই বুধবার রাতে মাঠে নামে জিদানের শিষ্যরা। সঙ্গে এবারের আসরে নিজেদের মাঠের পাঁচ ম্যাচে এখনও গোল না খাওয়ার আত্মবিশ্বাসও ছিল সঙ্গী। সব মিলিয়ে চোটের কারণে করিম বেনজেমার অনুপস্থিতি ছাড়া রিয়ালের সবকিছুই ছিল ইতিবাচক। ম্যাচের শুরুর দিকেই বড় এক ধাক্কা খায় সিটি। দশম মিনিটে শট নিতে গিয়ে পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার ভিনসেন্ট কোম্পানিকে। ২০তম মিনিটে গ্যারেথ বেলের দারুণ নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় রিয়াল। দানি কারবাহালের বাড়ানো বল ডি-বক্সের ভেতর ডান দিকে পেয়ে যান ওয়েলসের এই ফরোয়ার্ড। কোনাকুনি শটে বল ফের্নান্দোর পা ছুঁয়ে লেগে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়। পরে গোলটি ফের্নান্দোর আত্মঘাতী গোল হিসেবেই দেখানো হয়। ৪৪তম মিনিটে সিটির ব্রাজিলের মিডফিল্ডার ফের্নানদিনিয়োর জোরালো শট পোস্টে লাগলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রিয়াল। ৫৪তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন লুকা মদ্রিচ। বেলের লম্বা উঁচু করে বাড়ানো বল পা উঁচিয়ে দিয়ে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিলেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার। কর্নারের বিনিময়ে তা রক্ষা করেন গোলরক্ষক হার্ট। পরের মিনিটেই সুযোগ পেয়েছিলেন রোনালদো; কিন্তু কারবাহালের ক্রসে নেওয়া তার হেড ধরে ফেলেন জো হার্ট। ৫৮তম মিনিটে ইসকোর বাড়ানো পাসে রোনালদোর জোরালো শটও ঠেকান ইংলিশ এই গোলরক্ষক। ৬৫তম মিনিটে টনি ক্রুসের কর্নারে দারুণ হেডে বেল ঠিকই ফাঁকি দিয়েছিলেন হার্টকে। তবে ক্রসবারে বল লাগায় বেঁচে যায় অতিথিরা। ৬৯তম মিনিটে মিডফিল্ডার হেসুস নাভাসকে বসিয়ে নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড কেলেচি ইলেহেনাচোকে নামান পেল্লেগ্রিনি। সঙ্গে আগে থেকেই ছিলেন সের্হিও আগুয়েরো, কিন্তু শুরু থেকেই অনুজ্জ্বল আর্জেন্টিনার এই স্ট্রাইকার শেষ দিকেও জ্বলে উঠতে পারেননি। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারা আগুয়েরো শেষ দিকে নায়ক হয়ে যেতে পারতেন; কিন্তু তার জোরালো শট ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে গেলে ফাইনালে প্রথমবারের মতো ওঠার স্বপ্ন ভেঙে যায় সিটির।
×