ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে চেয়ারম্যান পদে ভাই-ভাই, বাবা-ছেলে

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ৫ মে ২০১৬

যশোরে চেয়ারম্যান  পদে ভাই-ভাই,  বাবা-ছেলে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বাঘারপাড়ায় দুই ইউনিয়নে বাবা-ছেলে ও আপন দুই ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে দুই ভাই গত ইউপি নির্বাচনে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। আর বাবা-ছেলে এবারই প্রথম চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা সবাই আওয়ামী লীগ ঘরানার। বাঘারপাড়া উপজেলার ১ নম্বর জহুরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান পিএম রেজাউল ইসলাম ওরফে দিলু পাটোয়ারী গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন। ওই নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয় তার আপন বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা নূর মহম্মদ পাটোয়ারীকে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বড়ভাই নূর মোহাম্মদ পাটোয়ারীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করেন দিলু। এবারও দলীয় মনোনয়ন যুদ্ধে নামেন দুই ভাই। শেষমেশ বড় ভাইকে টপকিয়ে দিলু পাটোয়ারী আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে পেয়ে যান দলীয় প্রতীক নৌকা। অপরদিকে, দলীয় মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়ে নূর মোহাম্মদ পাটোয়ারী স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। গত মঙ্গলবার মনোনয়নপত্রও জমা দেন তিনি। এ ব্যপারে নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘নেতাকর্মীদের চাপে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। নির্বাচন না করলে কেউ মনোনয়ন জমা দেয়? নির্বাচন করছি এটা ফাইনাল।’ অন্যদিকে দিলু পাটোয়ারী বলেন, ‘বেশিরভাগ ভোটার রয়েছেন আমার সঙ্গে। আমি কাউকেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছি না।’ এদিকে একই উপজেলার ৯ নম্বর জামদিয়া ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাবা শফিকুল ইসলাম ও ছেলে কামরুল ইসলাম টুটুল। টুটুল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন। মনোনয়নপত্র জমাও দেন তিনি। আর বাবা শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুই দিন আগেই। কামরুল ইসলাম টুটুল দাবি করেন, সাপোর্টিং হিসেবে তার বাবা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। টুটুল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জামদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজলের ভাই। স্থানীয়ভাবে এ পরিবারের বেশ প্রভাব রয়েছে। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন প্রভাষক নিখিল কুমার আঢ্য। লবণাক্ত মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইট নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকু-, চট্টগ্রাম, ৪ মে ॥ সলিমপুর ইউনিয়নের লতিফপুর এলাকায় সাগরপাড়ের বেড়িবাঁধের পাশে স্থাপন করা হয়েছে তিনটি ইটভাঁটি। দেখা যায়, কেএমএল নামে ৩টি ইটভাঁটি ঝাউবন উজাড় করে লবণাক্ত মাটি দিয়ে তৈরি করছে ইট। এতে একদিকে পরিবেশ বিপর্যয়, অন্যদিকে ম্যানগ্রোব ধ্বংস হচ্ছে। সাগরের লবণাক্ত মাটি দিয়ে ইট তৈরির বিষয়ে সীতাকু- উপজেলা প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে সহজ ভাষায় আমি মনে করি লবণাক্ত মাটি দিয়ে তৈরি ইট নির্মাণ কাজের অনুপযোগী। জানা যায়, সাত বছর আগে লতিফপুর সাগর উপকূলে গড়ে ওঠে কামাল ও সাহেদের মালিকানাধীন ইটভাঁটি। চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মকবুল হোসাইন বলেন, ‘আমরা ব্রিকস এলাকা পরিদর্শন করে দেখব, যদি পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’ মাদকসেবীর কারাদ- সংবাদদাতা, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, ৪ মে ॥ পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার নামে এক মাদকসেবীকে বুধবার ৬ মাসের কারাদ দিয়েছেন। উপজেলার করনাই ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একরামুল হকের পুত্র নাজিম উদ্দীন দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করছিল। ওই যুবক বুধবার সকালে পুনরায় গাঁজা নিয়ে বাড়িতে আসে। তার পিতা থানায় সংবাদ দিলে থানা পুলিশ তাকে গাঁজাসহ আটক করে সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে নিয়ে যান। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ প্রদান করেছেন। চিতলমারীতে বিদ্যুত অফিস ঘেরাও ॥ বিক্ষোভ স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ চিতলমারীতে ও দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুত না থাকায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুত অফিস ঘেরাও, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও বিক্ষোভ করেছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভে অংশ নেয়া লোকজন জানান, এখানকার পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তা বিদ্যুত সাশ্রয় দেখিয়ে তার আগের কর্মস্থল থেকে জাতীয় এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। ফলে এ এলাকায় তিনি যোগদানের পর থেকে গ্রাহকদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। বিদ্যুত সাশ্রয় দেখিয়ে তিনি আবারও এ্যাওয়ার্ড নিতে চান। যে কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুত বন্ধ রাখা হয়। ফলে জনভোগান্তি এখন চরমে। এ ব্যাপারে চিতলমারী পল্লী বিদ্যুত অফিসের এজিএম প্রভাকর দাস জানান, ঝড়ের জন্য বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ার কারণে ও বিভিন্ন স্থানে লাইনে সমস্যা থাকার জন্য এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এটা বিদ্যুত অফিসের কোন গাফিলতি নয়। এ্যাওয়ার্ড পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিছু উত্তেজিত লোক অফিসে ভাংচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছেন বলে তিনি জানান। রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদে ৪১ কর্মচারী নিয়োগ নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ৪ মে ॥ পার্বত্য জেলা পরিষদ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে সম্প্রতি ৪১ কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে। যাদের মজুরি বাবদ পরিষদকে বছরে ৩৫ লাখ টাকার অধিক ব্যয় করতে হচ্ছে। মাস্টার রোলে কর্মকর্তা-কমর্চারী র্নিয়োগ বিধি ভঙ্গ করে কোন ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই এসব নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জেলা পরিষদের জনবল কাঠামোতে মাত্র ১৯টি এমএলএসএর পদ রয়েছে। এরপরও জনবল কাঠামোর দ্বিগুণের চেয়ে বেশি লোক হঠাৎ করে কেন নিয়োগ করা হয়েছে এর উত্তর কেউ দিতে পারেনি। এই বিপুল সংখ্যক কর্মচারী কোথায় কর্মরত আছে তাও সঠিক করে কেউ জানাতে পারেনি। এ ব্যাপারে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা জানান, বিষয়টি চীফ জানেন। চীফ নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির জানান, পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে খ-কালীন এসব লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মন্দিরে চুরি নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ৪ মে ॥ জেলা শহরের পাটপট্টি এলাকায় অবস্থিত সার্বজনীন শিব মন্দিরে মঙ্গলবার রাতে চুরি হয়েছে। মন্দিরের দু’টি তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে চোররা পাথরের তৈরি দু’টি শিবলিঙ্গ ও নন্দী ঠাকুরের একটি গাভী নিয়ে যায়। মন্দিরের পূজারী গোপাল বীণ বুধবার সকালে মন্দিরে গিয়ে এ দৃশ্য দেখতে পান।
×