ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর বাজারে লিচু ॥ দাম চড়া

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ৫ মে ২০১৬

রাজশাহীর বাজারে লিচু ॥ দাম চড়া

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে এখনও সপ্তাহখানেব বাকি। তবে এরই মধ্যে রাজশাহীর বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু। নগরীর বিভিন্ন বাজারে শুরু হয়েছে লিচু কেনাবেচা। আকারে ছোট ও টক হলেও শুরুতেই বেশ চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে লিচু। এবার শুরুর দিকেই প্রতি এক শ’ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে। রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে এখন দেশী জাতের আগাম গুটি লিচু উঠতে শুরু করেছে। আকারে ছোট ও স্বাদে টক লিচুর দাম শুরুতেই অনেক চড়া। নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লিচু বিক্রির অস্থায়ী দোকান বসেছে। রেলগেট, লক্ষ্মীপুর, সাহেববাজার, শালবাগান, নওদাপাড়া, কোর্ট বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বসেছে এসব দোকান। লিচু চাষী জয়নাল হোসেন জানান, এবার দাম ভাল থাকলেও লিচুর ফলন কম আকারও ছোট। এপ্রিল জুড়েই খরার কারণে বেড়ে উঠতে পারেনি লিচু। গাছেই অনেক লিচু শুকিয়ে গেছে। লিচু ব্যবসায়ীরা জানান, এরই মধ্যে রাজশাহীর ক্রেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ক্রেতারাও লিচু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। রাজশাহীর লিচুর দেশব্যাপী চাহিদা রয়েছে। লক্ষ্মীপুর বাজারে লিচু কিনতে আসা আজিজুর রহমান বলেন, এবার লিচুর দাম বাড়তি। আবার স্বাদেও টক। তারপরেও বাজারে লিচু পড়ে থাকছে না। মৌসুমি রসালো ফল তাই পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বিষে ভরা সুন্দরী স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল থেকে জানান, ভারত থেকে বেনাপোল ও শার্শার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসছে ‘বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো’ সুন্দরী আম। বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এসব আম এখন পাওয়া যাচ্ছে। আর এসব আম সীমান্তের অবৈধ পথ দিয়ে আসছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। হলুদের আভা এবং বোঁটার দিকে টকটকে লাল এই আম দেখলে মনে হবে হলুদ আলতার মিশ্রণ, যা সহজেই ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে। বিক্রেতারা থরে থরে সাজিয়ে রেখেছে এসব আম। দিনের পর দিন দোকানে থেকে গা কুঁচকে গেলেও নষ্ট হয় না। বেনাপোল বাজারের ফল ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন বলেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা বিষাক্ত রাসায়নিক স্প্রে করে ফলের রং উজ্জ্বল ও পাকানোর ব্যবস্থা করে। এরপর ফরমালিন দিয়ে আম সজীব রাখে। ভারতের মাদ্রাজ থেকে এ আম আসে বলে জানান তিনি। শার্শার ফল ব্যবসায়ী হজরত আলি বলেন, প্রতিবছর মৌসুম শুরুর আগেই বেনাপোলসহ যশোরের বিভিন্ন সীমান্ত পথে আসা ভারতীয় ‘সুন্দরী’ আমে বাজার ভরে যায়। এবারও একই অবস্থা। দামও চড়া। প্রতিকেজি আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। আম ক্রয় করতে আসা ফাহমিদা আক্তার বলেন, ‘দেশি আম বাজারে আসেনি, তাই বেশি দাম দিয়ে ভারতীয় আম কিনেছি। অন্যান্য ফলের মতো দোকান থেকে আম কিনলাম, এতে রাসায়নিক বিষ দেয়া কিনা সেটা তো আমরা বুঝতে পারছি না।’ বেনাপোল পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রাসিদা খাতুন বলেন, ভারত থেকে আসা আমসহ ফলের কেমিক্যাল পরীক্ষা করার ব্যবস্থা আমাদের নেই। সাতক্ষীরায় জব্দ আম বিনষ্ট স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা থেকে জানান, আমে কার্বাইড মিশানোর সময় ৫ হাজার ৫৭০ কেজি আম জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় তিনজনকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের বৈচনা গ্রামের মুহসিনা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই বিপুল পরিমাণ আম জব্দ করার পর সেগুলো বিনষ্ট করা হয়। আমে কেমিক্যাল মেশানোর ঘটনায় ওই গ্রামের মফিজুর রহমানকে ১০ হাজার টাকা, মুহসিনা খাতুনকে দুই হাজার ও মনিরুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
×