ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীর ২ সিটিতে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ৫২৮ স্থান নির্ধারণ

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৫ মে ২০১৬

রাজধানীর ২ সিটিতে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য ৫২৮ স্থান নির্ধারণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর দুই সিটিতে ৫২৮ স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করেছে সরকার। এছাড়া পশু কোরবানির জন্য ৬৯৬ ইমাম ও মাংস তৈরি এবং চামড়া ছাড়াতে ৪৮০ কসাইয়ের তালিকা করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত এসব স্থান অস্থায়ীভাবে শুধু কোরবানির সময়ই পশু জবাই কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে। পর্যায়ক্রমে পৌরসভা এলাকাতেও কোরবানির স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হবে। দুই সিটি এলাকার মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ২০৪ কেন্দ্র ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৩২৪ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। তবে এসব স্থান এখনও বাধ্যতামূলক করা হয়নি। বুধবার সচিবালয়ে ‘নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক এক সভা শেষে স্থানীয় সরকার সচিব আবদুল মালেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৩৮৭, খুলনায় ১৫৫, নারায়ণগঞ্জে ১৯০ এবং গাজীপুরে ৪১৪ অস্থায়ী পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ১৫০, রংপুরে ৩৩, বরিশালে ১৪০ এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনে ২৭ স্থান ঠিক করা হয়েছে পশু কোরবানির জন্য। সচিব বলেন, নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির জন্য সরকার ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৩৬০ ইমাম ও ২৭৫ কসাই এবং উত্তরে ৩৩৬ ইমাম ও ২০৫ কসাইয়ের তালিকা করা হয়েছে। সভায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের কোন কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় ওই শহরের জন্য পশু কোরবানির স্থানের সংখ্যা জানানো হয়নি। বাংলাদেশে ১১ সিটি কর্পোরেশন এবং ৩২৫ পৌরসভা রয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এবার কোরবানির ঈদ হওয়ার কথা রয়েছে। গত বছর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধার জন্য সরকার প্রথমবারের মতো ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে পশু জবাইয়ের ৫৫৮ স্থান ঠিক করে দিলেও তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। প্রতি বছরের মতোই নগরজুড়ে যত্রতত্র পশু জবাই করতে দেখা গেছে। এবারও সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি বাধ্যতামূলক করা হয়নি জানিয়ে সচিব বলেন, এটা ধর্মীয় উৎসব, এতে কাউকে জোর করার সুযোগ নেই। আমরা অনুরোধই করে যাব। বাড়ি বাড়ি গিয়েও যদি আমরা তাদের দয়া পাই, আমরা তাই করব। আমরা চাই পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্য সম্মতভাবে কোরবানি হোক। এজন্য স্পটগুলো নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে কোরবানির দিন বৃষ্টি হলে এসব জবাইয়ের স্থানে যাতে সমস্যা না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোরবানির সময় সারাদেশের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে। এ বিষয়ে কোন সমস্যা দেখা দিলে আমরা তাৎক্ষণিক সুরাহা করতে চাই।
×