ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘সরকার দেশের রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে ’

প্রকাশিত: ০২:১৯, ৪ মে ২০১৬

‘সরকার দেশের রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে ’

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সফুরা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার সপ্তম বার্ষিক পরিকল্পনায় রপ্তানি খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং রপ্তানি কার্যক্রম সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে নতুন রপ্তানি নীতি ২০১৫-১৮ প্রণয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের সফল বাণিজ্যিক কূটনীতির কারণে ওষুধ শিল্পে ‘ট্রেড রেলেটেড এস্পেক্টস অব ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস (টিআরআইপিএস)’র আওতায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত মেধাস্বত্ত্ব ব্যবহারে অব্যাহতি লাভ করেছে। এর ফলে ওষুধ/ওষুধ সামগ্রি রপ্তানিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিককালে চীন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় উল্লেখযোগ্য প্রায় সকল পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার অর্জিত হয়েছে। দেশের রপ্তানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য, পাট ও পাটজাতপণ্য, হিমায়িত খাদ্য, হোমটেক্সটাইল এবং কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। নতুন নতুন পণ্যকে রপ্তানি পণ্যের ঝুড়িতে অন্তর্ভুক্ত করার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের সক্রিয় প্রচেষ্টা জাপানে নিট পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে জাপান সরকার জিএসপি সুবিধার রুলস অব অরিজিন ৩ স্তর থেকে ১ স্তরে আনা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, নগদ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার ফলে কৃষিজাত পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হিমায়িত চিংড়ি, আলু, হস্তশিল্পজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, কমার্শিয়াল উইং স্থাপনের কার্যক্রম, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তি, বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়, বাজার বহুমুখীকরণ, গার্মেন্ট শিল্প পার্ক, শ্রমিক ও কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও সরকারি দলের সদস্য মে. জে. এটিএম আবদুল ওয়াহহাব (অব.)’র এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ১০টি মেগা প্রকল্পকে ‘ফার্স্ট ট্র্যাক’ প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন করে চলছে। এ প্রকল্পগুলো প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মনিটর করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (মেট্রোরেল), বিল্ড ওন অপারেট এন্ড ট্রান্সফার (বিওওটি) পদ্ধতিতে মহেশখালী, কক্সবাজারে একটি এফএসআরইউ নির্মাণ এবং ১৫ বছর ধরে তা পরিচালনা করা। তিনি বলেন, মাতারবাড়ী ১৩২০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট, রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল), রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মায়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল রেললাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়ও আরো অন্যান্য প্রশ্নের উত্তরও দেন প্রধানমন্ত্রী।
×