ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিদেশী ব্যাংক তালিকাভুক্তিতে বাধ্য করার প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০০:২৯, ৪ মে ২০১৬

বিদেশী ব্যাংক তালিকাভুক্তিতে বাধ্য করার প্রস্তাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে ব্যবসা করা বিদেশি ব্যাংকগুলোকে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে বাধ্য করতে ব্যাংকগুলোর কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নয় এমন বিদেশি ব্যাংকের আয়কর সাড়ে ৪২ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে দেশীয় তফসীলি ব্যাংকের আয়কর ৪০ শতাংশ করারও প্রস্তাব দিয়েছে আইসিএমএবি। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় আইসিএমএবি সভাপতি আরিফ খান এসব প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, বিদেশি ব্যাংকগুলো দেশে ব্যবসা করে হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছে। কিন্তু তারা এখনও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়নি। সেগুলো দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে মানুষ উপকৃত হবে। এজন্য পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্ত নয় এমন ব্যাংকগুলোর কর ব্যবধান বাড়ানোর প্রস্তাব করছি। আরিফ খান বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর সুদহার কমেছে। বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে আকৃষ্ট করতে করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়ানো প্রয়োজন। এ সীমা বাড়ানো হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে এক লাখ টাকার জমি, ভবন অথবা এপার্টমেন্ট নিবন্ধনের সময় বাধ্যতামূলকভাবে ই-টিআইএন করতে হয়। সেখানে সব এলাকার ক্ষেত্রে এক লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি। আইসিএমএবি সভাপতি বলেন, ব্যক্তিগত করমুক্ত আয় সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি। একইসঙ্গে পণ্য কেনার উপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। কারণ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে ভোগ্যপণ্যের উপর ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভ্যাট নেয়। প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের সদস্য (আয়কর নীতি) ইকবাল পারভেজ। উল্লেখ্য, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে ব্যবসা করা বিদেশী কোম্পানিগুলোকে ৩০ শতাংশ শেয়ার ছাড়ার আইন রয়েছে। অর্থাৎ ব্যবসা করতে হলেও সেখানে শেয়ার ছেড়ে ব্যবসা করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে সেই আইনটি নেই। ফলে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বছরের পর বছর ব্যবসা করলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে আগ্রহ দেখায় না। বাজারের গভীরতা বাড়াতে এই কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই শেয়ার ছাড়তে বাধ্য করারও দীর্ঘ দিনের দাবি বাজার সংশ্লিষ্ট। এর আগে টেলিকম খাতের বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীন ফোন বাজারে আসার পরে আর কোন বহুজাতিক কোম্পানি বাজারে শেয়ার ছাড়েনি। যদিও তারা চুটিয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে।
×