ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ৪ মে ২০১৬

ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ওসমান ফারুকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা। তদন্ত সংস্থার ধানমণ্ডির কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয়ক সানাউল হক খান এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহ এলাকার ৮ ও পটুয়াখালীর ৫ জনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের প্রস্তুতির কথা জানানো হয়। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ‍সানাউল হক খান বলেন, ‘একাত্তরে সংঘটিত মানবাতবিরোধী অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ১১ জন অধ্যাপকের নাম পাওয়া গেছে। যারা স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড করেছেন। তাদের মধ্যে ড. ওসমান ফারুকের নামও রয়েছে। তখন তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন।’ শুধু ওসমান ফারুক নয়, এমন আরও চমক সামনে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন সানাউল হক খান। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ওসমান গণির ছেলে ওসমান ফারুক ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ওসমান ফারুক বা বাকি দশজনের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ এসেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি প্রসিকিউশনের তদন্ত সংস্থা। তবে গতবছর অক্টোবরে ময়মনসিংহ-৭ আসনে জাতীয় পার্টির সাংসদ এম এ হান্নানকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারের সময় যেসব অপরাধের কথা বলা হয়েছিল, তাতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ‘টর্চার সেলের’ কথাও আসে। বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, একাত্তর সালের ২৩ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে সেখানে ক্যাম্প খোলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিশালায় বানানো হয় আঞ্চলিক কমান্ড হেড কোয়ার্টার। আর ব্রহ্মপুত্র নদের তীর সংলগ্ন একটি বাড়িতে চালু হয় সেই নির্যাতন কেন্দ্র। ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজাকার বাহিনীর সহযোগিতায় ধরে আনা অসংখ্য নারী-পুরুষকে সেখানে হত্যার পর পাশেই নদের তীরে মাটিচাপা দেওয়া হয় সে সময়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই স্থানটিকে ‘বধ্যভূমি’ ঘোষণা করে।
×