ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কিশোরগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৪ মে ২০১৬

কিশোরগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৩ মে ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার এ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমদসহ ৪ রাজাকারের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির রায় ঘোষণার পরপরই করিমগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ সদরে আনন্দ মিছিল করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় তারা রায়ের খবরে একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ উল্লাস প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এ রায়ের ফলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। এখন তারা ৪ রাজাকারের ফাঁসি দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন। আর তাই তারা এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান। মামলার রায়ে জেলার করিমগঞ্জের দুই সহোদর এ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন এটিএম নাসিরউদ্দিন আহমেদ, রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান ও হাফিজ উদ্দিনকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে এবং আজহারুল ইসলামকে আমৃত্যু কারাদ-াদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে একমাত্র জেলা বারের আইনজীবী শামসুদ্দিন আহমেদ গ্রেফতার হয়েছে। বাকি চারজন পলাতক। রায় ঘোষণার পর দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড ও যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটির উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ শহরে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা ও শহীদদের স্বজনদের অংশগ্রহণে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ইসলামিয়া সুপার মার্কেট চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আসাদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে ফাঁসির দ-াদেশে সন্তোষ প্রকাশ করে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়ে বক্তৃতা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডার আঃ মান্নান, বাসিরউদ্দিন ফারুকী, সদর উপজেলা কমান্ডার মতিউর রহমান, ডেপুটি কমান্ডার গোপাল চন্দ্র নন্দী, জেলা যুদ্ধাপরাধ প্রতিরোধ আন্দোলন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সাদী, করিমগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মিছবাহ উদ্দিন, গুজাদিয়া ইউনিয়নের সাবেক কমান্ডার আঃ মালেক সন্দুসহ অন্যরা। বক্তারা করিমগঞ্জের ৪ রাজাকারের ফাঁসির রায়ের মধ্যদিয়ে এলাকাবাসীসহ তারা কলঙ্কমুক্ত হয়েছেন উল্লেখ করে দ্রুত এ রায় কার্যকরের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
×