ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৪ মে ২০১৬

এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এপ্রিল মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬১ শতাংশে, যা মার্চ মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে (এপ্রিল মাসে) ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময়ে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে তিন দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল তিন দশমিক ৮৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে আট দশমিক ৩৪ শতাংশে, যা মার্চ মাসে ছিল আট দশমিক ৩৬ শতাংশ। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী এসব তথ্য প্রকাশ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা এবং পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল-ইসলাম। মূল্যস্ফীতি কমার কারণ হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, চালের দাম কমেছে, সেই সঙ্গে সবজি ও তরিতরকারিসহ নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমেছে ফলে মূল্যস্ফীতি কমেছে। সামনে রমজান মাস আসলে সেসময় মূল্যস্ফীতি বাড়বে না। ঈদের সময় কেনাকাটা বেশি হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কিত নই। তিনি জানান, যেভাবে মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী প্রবণতায় রয়েছে, এতে করে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৫ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যেই মূল্যস্ফীতি থাকবে। বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী দেখা যায়, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৭৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল চার দশমিক ৭৯ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে তিন দশমিক ১১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল তিন দশমিক ১৫ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক ৮০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল সাত দশমিক ৮২ শতাংশ। শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক ২২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল সাত দশমিক ২৭ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূ পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল পাঁচ দশমিক ৬১ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে নয় দশমিক ১১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল নয় দশমিক ১২ শতাংশ।
×