ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের নিয়ে বড় প্রত্যাশা, লক্ষ্য ফিফা বয়স ভিত্তিক বিশ্বকাপ

খুলল স্বপ্নের দুয়ার

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৪ মে ২০১৬

খুলল স্বপ্নের দুয়ার

কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের মনেও সংশয় ছিল। শিরোপা ধরে রাখা তো পরের ব্যাপার। এই ছোট্ট মেয়েরা তাজিকিস্তানের মতো মধ্য এশিয়ার দেশে গিয়ে কেমন করে এ নিয়েই ছিল বেশি দুশ্চিন্তা তার। কিন্তু গোলাম রব্বানী ছোটনের ছাত্রীরা কোচের সেই চিন্তা উড়িয়ে দেয় প্রথম ম্যাচেই। বয়সের কারণে গত আসরের অনেকেই এবার খেলতে পারেনি। তারপরও মেয়েরা ফিরে আসে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে। একটু আলাদা করে দেখলে যে সাফল্য ছাড়িয়ে গেছে গতবারের সাফল্যকেও। টানা দুইবারই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হলেও গত আসরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। কিন্তু এবার ভারত হেরেছে গ্রুপ পর্বে এবং ফাইনালে। এবার শুধু ট্রফি নয়, সঙ্গে ৪ ম্যাচে ২৫ গোল করে বিদেশের মাটিতে প্রতিপক্ষ দেশগুলোরও বাহবা নিয়ে ফিরেছে তাহুরা-আনুচিংরা। এই সোনার মেয়েদের নিয়ে এখন রঙ্গীন স্বপ্ন অনেকের চোখেমুখে। এক সময় যে মেয়েদের ঘর হতে বাহির হওয়াই ছিল দুষ্কর, এখন সেই মেয়েরা অবলিলায় সাফল্য এঁকে আসছে দেশ পেরিয়ে বিদেশে। সেই মেয়েদের নিয়ে স্বপ্ন তো থাকবেই। বিশেষ করে এএফসি অনুর্ধ-১৪ আঞ্চলিক ফুটবলে তিনবার অংশ নিয়ে শেষ দুইবারের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দল এখন আরও ওপরের দিকে তাকাবে এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশও তাই চাচ্ছে। বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলের এই অগ্রযাত্রার পিছনে যার ভূমিকা সবচেয়ে বড়, বাফুফের মহিলা কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের অনুভূতি তাই একটু অন্য রকম, ‘অনুভূতি বলে প্রকাশ করা না। টানা দুই আসরে শিরোপা জিতলো মেয়েরা। এটা অবশ্যই অনেক আনন্দের। গত বছরও আমরা এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। তখনও ওরা অপরাজিত ছিল। এবারও অপরাজিত। ওরা যে ধারাবাহিতকা ধরে রেখেছে এটার জন্য আমি খুব খুশি। জিতে আসলো বা চ্যাম্পিয়ন হলো সেই আনন্দ না। এই সাফল্য এজন্য বেশি আনন্দের যে আমরা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছি। কারণ আমাদের লক্ষ্য একটা জয় নিয়ে পড়ে থাকা না। আমাদের লক্ষ্য প্রতিনিয়ত সামনে এগিয়ে যাওয়া। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে বলেই আমি বেশি আনন্দ পাচ্ছি।’ জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পরিকল্পনা ও পরিচর্যা প্রয়োজন। বাংলাদেশের মেয়েদের সাফল্যের পিছনে বড় অবদান এই দুটি জিনিসেরই। কিরণ বলেন, ‘আমাদের কোন একাডেমি নেই। মেয়েদের আমরা তাই সেভাবে ট্রেনিং করাতে পারি না। এ কারণে আমি চেষ্টা করি সারাবছর জাতীয় পর্যায়ে কোন না কোন টুর্নামেন্ট রাখতে। যাতে ওরা সবসময় খেলার ভেতরে থাকে। এছাড়া আমরা সবসময় ওদের কাউন্সিলিংয়ের মধ্যে রাখি। যাতে করে ওরা বড় ফুটবলার হতে পারে, ফুটবলে যেন ওরা নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারে। একজন বড় ফুটবলারের কি কি বেনিফিট থাকবে সেই জিনিসগুলো আমরা ওদের বেঝানোর চেষ্টা করি। দেশের বাইরে যারা স্টার মেয়ে খেলোয়াড় তাদের ভিডিওগুলো আমরা ওদের দেখাই। এভাবে ওদের তৈরি করা হয়। আর মাঠের ট্রেনিংয়ের ব্যাপারে আমরা সবসময়ই সতর্ক থাকি। এসব কিছু মিলিয়েই ওদের সাফল্য।’ মেয়েদের ধারাবাহিক সাফল্যে কখনও কখনও মনে হয় ছেলেদের সাফল্যকেও বুঝি ছাড়িয়ে যাচ্ছে মেয়েরা। মাহফুজা আক্তার কিরণ সেটা মানতে নাজার। কিংবা হয়তো দুটি বিষয়কে এক করতে চান না তিনি, ‘ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলবো না। ছেলেরাও ভাল করেছে। অনুর্ধ-১৬তে ছেলেরাও তো সাফ চ্যাম্পিয়ন। অনুর্ধ-১৪ দলও ক’দিন আগে ভাল করলো। ছেলেরাও যে খারাপ করছে তা না। আসলে জাতীয় দলের রেজাল্ট নেই সেটির সঙ্গে এর তুলনা করলে চলবে না। সবকিছুই এগুচ্ছে এবং ধীরে ধীরে সব যায়গাতেই ফল আসবে। মনে রাখতে হবে পৃথিবীর ২০৯টা দেশ ফুটবল খেলে। এখানে রাতারাতি সবকিছু করে ফেলা সম্ভব নয়। ফুটবল অনেক কঠিন একটা খেলা। এখানে রেজাল্ট করতে অনেক সময় লাগে। পুরো বিশে^র কথা চিন্তা করলে আমাদের অবস্থান এখনও কোথায় এটা সবার জানা। সেই যায়গা থেকে রাতারাতি উন্নতি করা সহজ কোন ব্যাপার নয়। ফুটবলে ভাল রেজাল্ট করতে হলে অনেক ইনভেস্ট প্রয়োজন। সেই জিনিসগুলো যখন আমরা নিয়ে আসতে পারবো তখন বলতে পারবো আমরা একটা যায়গায় এসেছি। আমাদের ফেডারেশন সভাপতি (কাজী সালাউদ্দিন) নিজের ব্র্যান্ডিং বিক্রি করে যতটুকু স্পন্সর নিয়ে আসেন তা দিয়ে আমরা ফুটবল চালাই। তারপরও যতটুকু সাফল্য এসেছে তাতে আমি মনে করি অনেক বেশি।’ এই মেয়েদের নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি? কিরণ চাওয়া অনেক বড়, ‘এ বছরই ঢাকায় অনূুর্ধ-১৬ প্রতিযোগিতা হবে। এখানে আপনারা দেখতে পাবেন আমাদের মেয়েরা কতটা ভাল খেলে। এদের নিয়ে আমার সিনিয়র জাতীয় দল গড়ার চিন্তা। সেই অনুযায়ী তাদের তৈরি করবো। এরপর তারা অনুর্ধ-১৬, অনুর্ধ-১৭, অনুর্ধ-১৯ এভাবেই গড়ে ওঠবে। বয়স ভিত্তিক দল উন্নত না করলে জাতীয় দলের ক্ষেত্রে আমাদের ভাল রেজাল্ট আসবে না এটা চিরসত্য একটি কথা। তাই এই দিকেই আমার বেশি মনযোগ। অন্যদিকে আমার যেটা আসল টার্গেট ফিফা বয়স ভিত্তিক যে বিশ^কাপ হয় অনুর্ধ-১৭, অনুর্ধ-২০; সেখানে কোয়ালিফাই করা। এরজন্য আমার যে ক’বছর লাগে। আমার চেষ্টা যত দ্রুত সেটা করতে পারি।’ লক্ষ্যটা একটু কি অবাস্তব বলে মনে হচ্ছে? নাকি এত তাড়াতাড়ি এই স্বপ্ন দেখা বাড়াবাড়ি আপনার কাছে? কিরণের কাছে অবশ্য মোটেও বাড়াবাড়ি নয়। সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগুলে এই লক্ষ্য পূরণ করা অবশ্যই সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। কারণ মেয়েদের ফুটবলের পাইপ লাইনটা এখন অনেক শক্তিশালী, ‘পাইপ লাইন নিয়ে এখন আমার কোন চিন্তা নেই। আমি যদি মনে করি একঘণ্টার নোটিসে উপজেলায় একটা টিম বানাবো, সেটা সম্ভব। কারণ বয়স ভিত্তিক এবং সিনিয়র মিলিয়ে প্রতিবছর আমরা জতীয় পর্যায়ে তিন থেকে চারটা চ্যাম্পিয়নশিপ করি। এর ফল হিসেবে ৬৫টা জেলাতেই এখন আমার খেলোয়াড় আছে এবং সেটি উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত।’ এছাড়া মেয়েরাও এখন ফুটবলে আসছে আগের থেকে বেশি। কিরণ যোগ করেন, ‘আমরা যখন জাতীয় প্রতিযোগিতা করি তখন শুধু টুর্নামেন্ট করি না। ওয়ার্কশপ-সেমিনার করি। মেয়েদের অভিভাবকদের ডেকে কাউন্সিলিং করা হয়। যে কারণে বাবা-মারা এখন আর ওদের বাধা দেয় না। আমরা যে ক্লাব লীগগুলো করি সেখান থেকে ওরা যেন উপার্জন করতে পারে, পরিবারকে সাপোর্ট করতে পারে সেই ব্যবস্থা করি। কারণ ওদের বেশিরভাগই অনেক গরিব ঘরের। সে কারণে আর্থিক সাপোর্ট কমবেশি ওরা যা পায় তাতে ওরা উৎসাহী হয়। সবকিছু মিলিয়েই এখন আর সমস্য নেই। জাতীয় পর্যায়ে মেয়ে ফুটবলার অনেক।’ গরিব ঘরের মেয়েদের কথা বললেন কিরণ। আসলে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে বাঁচিয়ে রেখেছে এই অসচ্ছল ঘরের ছেলে-মেয়েরাই। কিন্তু শুধু তারাই কেন বইবে পুরো দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভার? বাফুফের সদ্য নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত সদস্য কিরণও মানেন বিয়ষটি, ‘আমরা কিন্তু এটা পরিবর্তন করতে চেয়েছি। কাজী মোঃ সালাউদ্দিন যখন প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়ে আসেন ফেডারেশনে, আমি তখন থেকেই আছি। তখন থেকেই আমরা ঢাকা মহানগর স্কুল ফুটবল করার চিন্তা করেছি। পর পর কয়েক বছর আমরা সেটা করেছি। কারণ আমরা চেয়েছিলাম, বড় বড় স্কুলের বাংলা-ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া সব ছেলে-মেয়েরাই ওঠে আসুক। ফুটবল পুরোপুরি মেধার খেলা। একজন ফুটবলারের যদি মেধা না থাকে তাহলে ভাল ফুটবলার হতে পারে না। মাঠে সেকেন্ডের ভগ্নাংশে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফুটবলারকে কাজ করতে হবে। যে মেধাবী সে ভাল ফুটবলার হবে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ইংলিশ এবং বাংলা দুই মাধ্যমের স্কুল নিয়ে লীগ করেছিলাম। জাতীয় দলেও তাদের আমরা ডেকেছি। কিন্তু তাদের আমরা পাইনি। এটা আমরা যখন খেলেছি তখনও হতো। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের বাবা-মা প্রফেশনাল খেলাগুলোতে যেতে দিত না। বাবা-মার প্রধান প্রাইওরিটি ছিল লেখাপড়া। ওদেরকেও তাই করে। ক্যাম্প মানেই অনেক কষ্ট... তাই সচ্ছল বাবা-মারা সন্তানদের আসতে দিতে চান না। এ কারণে আমরা এখনও এই যায়গাটায় উন্নতি করতে পারিনি। তারপরও আমার পরিকল্পনা আছে আবার আমরা মহানগর স্কুল ফটবল চালু করার। যদি এখান থেকে দুই-চারজন ফুটবলার আনা যায়।’ তবে শুধু বাফুফে নয়। ফুটবলার তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে ক্লাবগুলোকেও। এই যায়গাটা ক্লাবগুলোর প্রতি ক্ষোভ ঝরে পড়ে এই নারী ফুটবল প্রশাসকের কণ্ঠে, ‘আমাদের দেশে ক্লাবগুলো ফুটবলার তৈরির কোন চেষ্টা করে না। সারা পৃথিবীতে ফুটবলার তৈরি করে ক্লাব। বর্সেলোনা, ম্যানচেষ্টার, চেলসি এরা সবাই ফুটবলার তৈরির কারখানা। কোথাও ফেডারেশন ফুটবলার তৈরি করে না। আমাদের দেশে যারা ফুটবলের সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের এই নলেজ থাকা উচিত। হয়তো তারা সেটা জানে কিন্তু কাজে প্রমাণ করতে চায় না। অন্য দেশগুলোতে ফুটবল ফেডারেশন শুধু দিক নির্দেশনা দেয়। প্ল্যানিং দেয়। তারা ফুটবলার তৈরি করে না। এই যে আমাদের ক্লাবগুলো ফুটবল ফেডারেশন কে বা কাজী সালাউদ্দিনকে ব্লেইমগুলো করে এটা ভুল। এটা শুধু কাজী সালাউদ্দিনের একার কাজ না। এটা ক্লাবগুলোরও কাজ। কিন্তু তারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে না।’ তবে এবার পুনরায় নির্বাচিত মাহফুজা আক্তার কিরণের কণ্ঠে কঠোরতা, ‘আমি মহিলা ফুটবলের ক্লাব লীগ গত দুই বছর করতে পারিনি। কারণ ক্লাবগুলো মেয়দের লীগে অংশগ্রহণই করে না। তাদের কাছে অনেক দারস্থ হয়ে এন্ট্রি করাতে হয়। এ বছর থেকে আর সেটি হবে না। এবারের নির্বাচন করতে গিয়ে অনেক ছোট ক্লাবের সাথে আমার ভাল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এখন বড় কোন ক্লাব অংশগ্রহণ না করলে তাদের বাদ দিয়ে আমি ছোট ক্লাব নিয়ে লীগ করবো। ২০০৮ সালের বাফুফে নির্বাচনে কাজী মোঃ সালাউদ্দিন প্রথমবার নির্বাচিত হয়ে এসে যেমন বাংলাদেশের মৃত প্রায় ফুটবলকে বাঁচিয়ে তুলেছেন, তেমনি নারী ফুটবলও আলোর পথে যাত্রা করেছে তার আমলেই। তিনি নির্বাচিত হয়ে এসেই ২০০৯ সালে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ করে মহিলা জাতীয় দল গড়ে তুলেন। সেই দল ২০১০ একাদশ সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েই ব্রোঞ্জ জেতে। যে অগ্রগতি এখন কেবল উর্ধমুখী। এ কারণেই টানা দুইবার এএফসি অনুর্ধ-১৪ আঞ্চলিক ফুটবলে শিরোপা জিতে ফিরে বাংলাদেশের মেয়েরা। এখান থেকে আর পিছন ফিরে তাকানো নয়। নারী ফুটবলকে কেবল সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান কিরণ, ‘আমরা পিছনের দিকে আর ফিরে তাকতে চাই না। আমি মনে করি আমাদের সামনে যে টুর্নামেন্টগুলো থাকবে সেখানেও এই জয়ের ধারা আমরা অব্যাহত রাখবো এবং সেভাবেই ওদের তৈরি করবো।’ সঙ্গে দ্রুত একটা একাডেমি গড়ে তুলতে চান তারা, ‘আমাদের মেয়েদের জন্য একটা একাডেমি গড়া ভীষণভাবে জরুরী। এ নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। তবে সেটার জন্য ভাল অবকাঠামো দরকার। আমরা এই মুহূর্তে নিজেদের পয়সায় সেটা করতে পারবো না। যদি সরকারের কোন ইন্সটিটিউট পাই, যেমনÑ সিলেট বিকেএসপি পেয়েছিলেম। অত বড় না হোক, ছোটর মধ্যে পেয়ে গেলেও আমরা সরকারের কাছে যাব এবং একাডেমি করার চেষ্টা করবো।’ গত বছর নেপালের পর এবার তাজিকিস্তান থেকেও শিরোপা নিয়ে ফিরায় মাহফুজা আক্তার কিরণ কৃতজ্ঞতা এবং অভিনন্দন জানান দলের কোচিং স্টাফদের, ‘আমাদের কোচিং স্টাফ যারা আছেন তাদের প্রতি আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ তারা মেয়ে ফুটবলের ব্যাপারে অনেক আগ্রহী। বিশেষ করে গোলাম রব্বানী ছোটন এবং মাহবুবুর রহমান লিটু। ওনাদের কাছে নিজের প্রাইওরিটির চেয়ে মেয়েদের প্রাইওরিটি থাকে সবার আগে। ওনারা সেইভাবেই মেয়েদের টেক কেয়ার করে এবং ট্রেনিং করায়। এজন্য আমি খুবই খুশি এবং আমার অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা দুটিই আছে কোচিং স্টাফদের প্রতি।’
×