জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ গাইবান্ধায় গৃহবধূ, নীলফামারীতে কবিরাজ, রংপুরে তরুণী, লালমনিরহাটে গৃহবধূ ও চট্টগ্রামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
গাইবান্ধা ॥ গোবিন্দগঞ্জে দরবস্ত ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামে যৌতুকের জন্য মঙ্গলবার ভোরে স্বামী আব্দুল হালিম (২৭) ও তার ভাড়াটিয়া লোকজনের হাতে খুন হয়েছেন জুঁই নামে এক গৃহবধূ। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গোবিন্দগঞ্জের তালুককানুপুর গ্রামের আয়নাল মিয়ার ছেলের হালিমের সঙ্গে মাত্র দেড় বছর আগে একই উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে জুঁই খাতুনের (২১) বিয়ে হয়। মঙ্গলবার ভোরে সে ৪ জন লোক নিয়ে জুঁইদের বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে তার শোয়ার ঘরে ঢুকে উপর্যুপরি ধারাল অস্ত্রের আঘাতে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
নীলফামারী ॥ আব্দুল আজিজ ওরফে কালু মুন্সি (৭৫) নামের এক গ্রাম্য কবিরাজকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার দুপুরে দারোয়ানি টেক্সটাইল মিলের অদূরে একটি পাটক্ষেত থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
অপরদিকে দেড় বছর ধরে মোবাইলে প্রেম করার পর বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেও সুখের সংসার করা হলো না সানজিদা আক্তার সুপ্তির (১৯)। মঙ্গলবার সকালে রংপুর শহরের আলমনগর খামার এলাকা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সুপ্তির বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বলশিয়াতারা গ্রামে। তার বাবার নাম সোহরাব মিয়া। এ ঘটনায় বিপ্লব নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
লালমনিরহাট ॥ স্ত্রীকে হত্যা করে ঘরের চালে ওড়না জড়িয়ে ফাঁস লাগিয়ে রেখেছে স্বামী। অপরাধ স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাবার বাড়ি চলে এসেছিল। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা সদরের কালমাটি গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
চট্টগ্রাম ॥ কোতোয়ালি থানার আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ। সোমবার রাত তিনটার দিকে টহল পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
সিফাত হত্যা মামলা ॥ শ্বশুরকে ৭ দিনের জামিন
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও গৃহবধূ ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলায় শ্বশুর মোহাম্মদ হোসেন রমজানকে অসুস্থতাজনিত কারণে ৭ দিনের জন্য জামিন দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে চার্জশীটভুক্ত আসামি রমজান আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। এ সময় রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মনসুর আলম প্রথমে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ তাকে কোর্ট হাজতে নেয়া হলে কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে আইনজীবীরা ফের হাজির হয়ে তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে জামিন আবেদন করেন। এ সময় আদালতের বিচারক তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ৭ দিনের জামিন মঞ্জুর করেন। ৭ দিন পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৯ মার্চ রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে হত্যা করা হয় ওয়াহিদা সিফাতকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: