ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যৌতুকের জন্য তিন গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ৪ মে ২০১৬

যৌতুকের জন্য তিন গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ৩ মে ॥ রূপগঞ্জে পৃথক স্থানে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দেয়ায় ও পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তিন গৃহবধূকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পূর্বগ্রাম ভাওয়ালীপাড়া, ছাতিয়ান ও গোলাকান্দাইল এলাকায় গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ মনিরা ইসলাম নিপা জানান, তিন মাস আগে পূর্বগ্রাম ভাওয়ালীপাড়া এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে মামুন হোসাইনের সঙ্গে মনিরা ইসলাম নিপার বিয়ে হয়। বিয়ের দুই দিন পর গৃহবধূর অজান্তে স্বামী মামুন হোসাইন ফ্রান্সে চলে যায়। এরপর থেকেই স্বামী মামুন হোসাইনের নির্দেশক্রমে শ্বশুর আলাউদ্দিনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মনিরা ইসলাম নিপার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় প্রায়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালানো হতো। মঙ্গলবার সকালে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় শ্বশুর আলাউদ্দিন, আজিমা, হাসি, রোকসানা, সোলমানসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মনিরা ইসলাম নিপাকে পিটিয়ে আহত করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। গৃহবধূ খাদিজা বেগম জানান, তিনি উপজেলার নগরপাড়া এলাকার আব্দুল হাকিম মিয়ার মেয়ে। গত ১০ বছর আগে পার্শ্ববর্তী ছাতিয়ান এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার সঙ্গে খাদিজা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে ইয়ামিন ও ইয়াছিন নামে দুই সন্তান হয়। বেশ কয়েক দিন ধরে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে স্বামী জাহাঙ্গীর মিয়ার সঙ্গে খাদিজা বেগমের বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে স্বামী জাহাঙ্গীর মিয়া, জাহেদ আলী, রোজিনা খাতুন, পারভীনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন খাদিজা বেগমকে লাঠিপেটা করে সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আহত ওই গৃহবধূকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর গৃহবধূ রিক্তা বেগম জানান, ৪ বছর আগে খুলনা জেলার তেরখাদা থানার ছাগলাদাহ এলাকার নওশের শেখের ছেলে রবিউল ইসলামের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই ছোয়া নামে এক কন্যাকে নিয়ে গোলাকান্দাইল এলাকায় বসবাস করে আসছেন তারা। বেশ কয়েক দিন ধরেই স্বামী রবিউল ইসলাম রিক্তা বেগমের কাছে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। মঙ্গলবার সকালে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় রিক্তা বেগমকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
×