ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে সড়ক নির্মাণ প্রকল্প

এক লাখ টাকার ৮০ হাজারই লোপাট

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ৪ মে ২০১৬

এক লাখ টাকার ৮০ হাজারই লোপাট

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আউটশাহী ইউনিয়নের মামরদুল গ্রামের রাস্তা তৈরির প্রকল্পে বরাদ্দের ৮০ ভাগ অর্থই লোপাট হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান সেকান্দর বেপারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিকে বরাদ্দের এক লাখ টাকার মধ্যে মাত্র ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন। ফলে রাস্তাটি তৈরি করতে হয়েছে এলাকাবাসীর টাকায়। রাস্তা তৈরিতে সরকারী অনুদান না পেয়ে মামরদুল গ্রামবাসী নিজেরাই চাঁদা তুলে সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা তৈরি করেছে। এর পরও ওই রাস্তা দিয়ে তারা হাঁটতে পারছে না। এলাকাবাসী জানায়, চেয়ারম্যান সেকান্দর বেপারীর বন্ধু খোরশেদ শেখ রাস্তার প্রবেশমুখ দখল করে ঘর তৈরি করেছেন। ফলে রাস্তাটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা সেকান্দর বেপারীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে দখলকারী তার ছোটবেলার বন্ধু, তাই তার কিছুই করার নেই বলে জানান। স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তাবায়ন কমিটির সভাপতি লাইলি আক্তারের নামে চেক ইস্যু করা হলেও তাকে মাত্র ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। বাকি টাকা চেয়ারম্যানই রেখে দিয়েছেন। অভিযোগে আরও জানা গেছে, শুধু এই প্রকল্পটিই নয়, ইউনিয়নের আরও কয়েকটি রাস্তার প্রকল্পে চেয়ারম্যান সেকান্দর বেপারী স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেছেন। পরে সরকারী বরাদ্দের টাকা পাওয়ার পর তা আর ফেরত দেননি। ২০ হাজার টাকায় রাস্তা কিভাবে হলো- জবাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য বলেন, গ্রামবাসী চাঁদা তুলে টাকা দিয়েছে। খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, সেকান্দর বেপারী রাস্তার কাজ শুরু করার আগে এলাকার মানুষদের বলেছেন, আপনারা এখন টাকা দেন, কয়েক ধাপে বরাদ্দ দিয়ে আপনাদের টাকা পরিশোধ করে দেব। তবে কাজ শেষের পর তিনি মাত্র ২০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আউটশাহী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকান্দর বেপারী বলেন, এ সকল খবর মিথ্যা ও বনোয়াট। অফিসিয়াল খরচ বাদে আমি ওই এক লাখ টাকার প্রকল্পের বাকি কাজ করেছি। এক বছর পরই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ফাটল নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ৩ মে ॥ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি এক বছর আগে ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তিনতলার এই ভবনটি নির্মাণের এক বছর পরই বিভিন্ন তলায় ফাটল দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, গণপূর্ত বিভাগের অধীনে জামালপুরের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এহসান কনস্ট্রাকশন ২০১৩ সালের ১৭ মার্চ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি নির্মাণকাজ শুরু করেন। ২০১৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভবনটির উদ্বোধন করেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি। নির্মাণের এক বছর পরই ভবনটির বিভিন্ন তলায় ছোট বড় অনেক ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন মুক্তিযোদ্ধারা। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম খোকা মঙ্গলবার জানান, নির্মাণের এক বছরের মাথায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটির বিভিন্ন তলায় ছোটবড় অনেক ফাটল দেখা দিয়েছে। তিনি জরুরী ভিত্তিতে ভবনটি সংস্কারের জন্য জামালপুর গণপূর্ত বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন।
×