ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কুষ্টিয়ায় ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি

সাবেক এডিসিসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৪ মে ২০১৬

সাবেক এডিসিসহ ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ৩ মে ॥ কুষ্টিয়ায় ভূমি অধিগ্রহণে ফসলী জমিকে জালিয়াতির মাধ্যমে বসতভিটা শ্রেণীভুক্ত জমি দেখিয়ে সরকারের সোয়া দুই কোটি টাকা তসরুপ ও আত্মসাতের অভিযোগে কুষ্টিয়ার সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের পাঁচ কর্মকর্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পৃথক ১৭টি মামলা দায়ের করেছে দুদক। এছাড়া জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এ মামলায় ২৮ জন ভূমি মালিককেও আসামি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কুষ্টিয়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল গফ্ফার ২৬ এপ্রিল বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। দুদকে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা-খুলনা গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কুষ্টিয়া এলাকায় জমি অধিগ্রহণে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ধানি শ্রেণীভুক্ত জমিকে ভিটা শ্রেণীভুক্ত জমি দেখিয়ে সরকারের ২ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৩শ’ ৩৮ টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার আসামিরা হচ্ছেন কুষ্টিয়ার সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দকার আজিম আহমেদ (বর্তমানে মাগুরা জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক পদে কর্মরত), কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক কাননুগো বর্তমানে যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত রেজাউল করিম, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক ভূমি হুকুমদখল কর্মকর্তা ও বর্তমানে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মখলেসুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে কর্মরত আবুল কালাম। এছাড়া জমি অধিগ্রহণে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে জমির ২৩ মালিককেও আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন কুষ্টিয়ার জগতি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খসরুব হোসেন খোকন, সৈয়দ আলী নাজিম মনিরুজ্জামান, রোকেয়া খাতুন, শাজাহান খান খোকন, আলতাফ হোসেন খান, মাহফুজা খানম, হোসনা পারভিন, লালজান খাতুন, মীর রকিবুজ্জামান, মীর রকুনুজ্জামান, ফরিদুল ইসলাম তারা, লাইলী বেগম, আব্দুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনারূল, বাচ্চু মিয়া, রুস্তম আলী, আবু হানিফ, নুরজাহান, মতিয়ার রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, মহর আলী ম-ল, আলাউদ্দিন ও জোমারত সর্দার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর মামলা করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা জালিয়াতির আশ্রয় ও বিধিবহির্ভূতভাবে এলএ কেস নং-০৬/২০০৯-১০ এর আওতায় ভেড়ামারা-খুলনা গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্পে কুষ্টিয়া জেলা সদর উপজেলার অন্তর্গত বটতৈল মৌজার ০.০৮৬৫ একর ধানি জমির স্থলে ৩.৩৯৩ একর জমিকে ভিটা শ্রেণী দেখিয়ে অতিরিক্ত ২ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৩শ’ ৩৮ সরকারী টাকা আত্মসাত করে।
×