ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাব্বির খান

ভোটের রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ৪ মে ২০১৬

ভোটের রাজনীতির গ্যাঁড়াকলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়

অভিবাসীদের নিয়ে পৃথিবীর সব দেশেই রাজনীতি হয়, বিশেষ করে ভোটের রাজনীতি। বিভিন্ন দেশে অভিবাসী বলতে সংখ্যালঘুদেরই বোঝায়। আমার দেখা গত ২০ বছরে সুইডেনে নির্বাচন প্রাক্কালে ভাসমান ভোটার ছাড়াও বিভিন্ন দলের নিয়মিত ভোটারদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কৌশল হিসেবে প্রতিটি দল অভিবাসী ইস্যুকে তাদের নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করে। সুইডেনের নাগরিকদের অনেক মৌলিক ইস্যু যেখানে স্থান না পেয়ে অভিবাসননীতির প্রশ্নকে ইচ্ছাকৃতভাবে সামনে এনে ভোটের রাজনীতি করতে দেখা যায়, সেখানে বৈশ্বিক অভিবাসন ইস্যুটি ভোটের রাজনীতিতে যে একটি লোভনীয় এবং সস্তা উপকরণ তা না বোঝার কোন কারণ থাকে না। এই প্রবণতাটা শুধু সুইডেনেই নয়, সমগ্র ইউরোপে। গত দুই যুগের অধিককাল ধরে এটা চর্চা হতে দেখা যাচ্ছে। এ কারণে ইউরোপের প্রায় প্রত্যেক দেশে উগ্র ডানপন্থীদের তৃতীয় শক্তি হিসেবে উত্থান হতে দেখা গেছে। তারা সরকার গঠনে ভারসাম্য দল হিসেবে সংসদে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। শুধু এই কারণেই নয়, বরং ভুঁইফোড় এই উগ্র ডানপন্থীদের মোকাবেলা করার অজুহাতে প্রগতিশীল, মানবতাবাদী, গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক দলগুলোকে ছাড় দিয়ে হলেও অনেকটা উগ্র-ডানপন্থীদের আদলে অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর হতে দেখা গেছে। যার প্রভাব বিশ্বের অন্য দেশগুলোতেও উদাহরণ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। সাম্প্রদায়িকতা বিশ্বে নতুন কোন বিষয় নয়। সুদূর মার্কিন মুল্লুকে আফ্রিকান-আমেরিকানদের অধিকারের প্রশ্নে হানাহানির বিষয়গুলো প্রাগৈতিহাসিক হলেও সে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজও সেই বিষবৃক্ষ বিদ্যমান। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইহুদীবাদের বিরুদ্ধে হিটলারের যুদ্ধ ঘোষণাও কারও অজানা নয়। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য প্রধান হলেও উপনিবেশবাদের অঙ্কুরে ছিল সাম্প্রদায়িক মনোভাব। ধর্মীয় মতভেদের কারণে আধুনিক বিশ্বে সম্প্রসারিত হয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের শেকড়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর বিশ্বের পরাশক্তিগত ভারসাম্যহীনতার সুড়ং পথ ধরে একটু একটু করে বিশ্ব রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছে। এই ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, যা ইতোপূর্বে কিছুটা অস্পষ্ট থাকলেও এতবেশি মাথাচাড়া দেয়ার সুযোগ কখনই পায়নি। নব্বই দশকের গোড়া থেকে শুরু করে বর্তমানেও চলমান এই সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বের তাবত আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার সুতিকাগারে। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙ্গে যাওয়ার পর উগ্র-মৌলবাদ একটি স্বতন্ত্র ‘ইজম’-এর মতই বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে একটু একটু করে। অন্তত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও আরব দেশগুলোতে এই প্রবণতা এতটাই প্রকট যে, আধুনিক বিশ্বের পুঁজিবাদ ও মৌলবাদের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথাও আলোচিত হয় ইদানীং। সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ায় আইসিস মোকাবেলার জন্য রাশিয়া, চীন ও আমেরিকাসহ বিশ্বের প্রায় সব পরাশক্তির মধ্যে মতভেদ এবং যুদ্ধ ঘোষণার পরও তা নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে মোটা দাগে একথা নিশ্চিত বলা যায় যে, বিশ্ব এখন মূলত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক. গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদ, দুই. উগ্র-মৌলবাদ। বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ার মূল কারণ হিসেবে বিশ্ব রাজনীতিবিদদের নির্বাচনমুখী রাজনীতির অনুশীলন প্রবণতাকে প্রধান হিসেবে দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই প্রবণতা এতটাই প্রকট এবং ভয়াবহ যে, এর খেসারত দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রাজনীতিতে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার উপস্থিতি কয়েক যুগের পুরনো হলেও সাম্প্রতিককালে বিশ্বের এক নম্বর গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে খ্যাত ভারতেও সেই একই ধারার রাজনৈতিক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ভারতের সাম্প্রদায়িক দল হিসেবে পরিচিত বিজেপি বর্তমানে ক্ষমতাসীন। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যথেষ্ট পারদর্শিতার পরিচয় দিলেও গোড়ায় মূলত দেশটি চালিত হচ্ছে এক ধরনের ‘মৌলবাদ’ আদর্শের মূলনীতি অনুসরণ করে। প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল হিসেবে কংগ্রেসের আগামী কয়েক দশকে পুনরায় ক্ষমতায় আসা সম্ভব হবে কি-না সে ব্যাপারেও অনেকে খোলামেলা সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে ক্ষমতার রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে কংগ্রেসের মতো শত বছরের পুরনো একটি দলকে হয়ত মৌলবাদের সঙ্গে কিছুটা হলেও আপোস করার নীতি অনুসরণ করতে হতে পারে, যা পশ্চিমা গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদী সমাজে উগ্র-ডানপন্থীদের সঙ্গে করছে অহরহ। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভারতের বামধারার রাজনৈতিক দলগুলো এক ধরনের মধ্যপন্থা অবলম্বন করছে। যার কারণে কংগ্রেসও অনেকটা সাথী হারার মতো দিকহারা ম্রিয়মাণ এবং এর শতভাগ সুযোগ নিতে সক্ষম হচ্ছে এশিয়ার এ অঞ্চলের উগ্র-মৌলবাদ গোষ্ঠীগুলো। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি স্থাপনায় কাজ করে গিয়েছে। আধুনিক বিশ্বের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশের ভূমিকাকে গৌণ করে দেখার কোন সুযোগ নেই বিভিন্ন কারণে। বিশেষ করে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে নবীন দেশ হয়েও আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নির্ভরযোগ্য দেশ হিসেবে অবস্থান নিতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েও সাম্প্রতিককালে পরিবর্তনশীল বিশ্ব রাজনীতির প্রতিনিয়ত নতুন মেরুকরণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা নির্দ্বিধায় বিশ্বের সমীহ আদায়ে সক্ষম হচ্ছে। নয় মাসের একটি যুদ্ধ পরিচালনায়ও বাংলাদেশের মুজিবনগর সরকার অত্যন্ত শৃঙ্খলার সঙ্গে কোন ধরনের মৌলবাদ বা বিচ্ছিন্নতাবাদী লড়াইয়ের দিকে মোড় নিতে দেয়নি, যদিও পরাজিত পাকিস্তান সে চেষ্টার কোন কার্পণ্য করেনি। আধুনিক বিশ্বে শান্তিরক্ষার প্রক্রিয়ার অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ও জঙ্গীবাদের তৎপরতা রোধ। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে পরাজিত শক্তির উত্থান, ক্ষমতালোভী সামরিক শক্তির অপতৎপরতা, রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ধর্মের অবাধ ব্যবহার, মৌলবাদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ধর্মীয় উগ্রবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দান সবই নির্বিচারে হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে। যার কারণে পঁচাত্তর থেকে নব্বই এবং তৎপরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোটের ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বাংলার মাটিতে গোড়াপত্তন হয়েছে উগ্র-মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদের। পাকিস্তানের আদলে বাংলাদেশেও এই অশুভ শক্তির রাজনৈতিক তৎপরতাকে মোকাবেলা করতে গিয়ে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকেও ক্ষেত্রবিশেষে আপোস করতে হচ্ছে মৌলবাদের সঙ্গে, যা ভারতে এবং পশ্চিমা পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায়ও দেখা যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে প্রত্যেকটি দেশ কোন না কোনভাবে প্রভাবিত হয় একে অন্যের দ্বারা। সীমান্তবদ্ধতার যুগ এখন আর নেই। বড় দেশ হিসেবে ভারত এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির প্রভাব বাংলাদেশ বা সীমান্তবর্তী অন্যান্য দেশে পড়তে বাধ্য। লেখার শুরুতেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে ভোটের রাজনীতি হিসেবে বলেছিলাম। পঁচাত্তর পরবর্তীতে তিন কোটির অধিক সংখ্যালঘু দেশ ত্যাগ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জরিপে জানা যায় যে, গত নয় বছরে বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ হয়েছে প্রায় নব্বই লাখ হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাংলাদেশী। গত নয় বছরে বেশিরভাগ সময় ক্ষমতায় আছে ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী মুজিবনগর সরকারের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। যেই মুজিবনগর সরকার যুদ্ধকে কোন ধরনের মৌলবাদ বা বিচ্ছিন্নতাবাদী লড়াইয়ের দিকে মোড় নিতে দেয়নি, সেই একই দলের সরকারের আমলে তাহলে কিভাবে বিশাল সংখ্যার সংখ্যালঘু বাংলাদেশী দেশত্যাগ করতে পারে, তা অবশ্যই ভাববার বিষয়। উপরের আলোচনায় একাধিকবার উল্লেখ করেছি যে, কিভাবে এবং কেন বিশ্বের প্রগতিশীল, মানবতাবাদী, গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক দলগুলো সংখ্যালঘিষ্ঠ অভিবাসী ইস্যুতে ছাড় দিয়ে মৌলবাদ ও উগ্রবাদের সঙ্গে আপোস করছে শুধু নির্বাচনোত্তর ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। এই আপোসকে ক্ষমতাসীনরা উগ্র-মৌলবাদকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার কৌশল হিসেবে বর্ণনা করলেও প্রক্রিয়াটি মূলত ‘গরু মেরে জুতা দান’-এর মতোই হতাশাব্যঞ্জক! বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও এত বিশাল সংখ্যক সংখ্যালঘিষ্ঠের দেশত্যাগ ক্ষমতাসীন সরকারের মৌলবাদের সঙ্গে আপোস করারই ইঙ্গিত বহন করে বলে অনেকে মনে করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মৌলবাদের উত্থান প্রতিহতের জন্য যখন এ অঞ্চলের দেশগুলোকে যৌথভাবে কাজ করার কথা ভাবতে হবে, বিশেষ করে এই যুদ্ধের মূল দায়িত্ব নিতে হবে যেখানে ভারতকে, ঠিক তখনই ভারত সরকার ঘোষণা দেয় যে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত এবং অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু অভিবাসীরা ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ অনুযায়ী সেদেশে নাগরিকত্ব পাবে। ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্ব সেইসঙ্গে একথাও বলেন যে, বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মুসলিমদের এর আওতায় রাখা হয়নি, কারণ তাদের যাওয়ার জন্য অন্য অনেক দেশ আছে (বিবিসি, ৮ সেপ্টেম্বর-২০১৫)। ভারতের এই ঘোষণা যেমন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের উগ্র-মৌলবাদকে উৎসাহিত করবে সংখ্যালঘু উৎখাতে, তেমনি ভারতে অবস্থানরত অন্য সংখ্যালঘুরাও উচ্ছেদের লক্ষ্য হবে সেদেশের উগ্র-মৌলবাদের কারণে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর শুধু ইসরাইল রাষ্ট্রেই ইহুদীদের সুরক্ষা দেয়া হয়নি, একই সঙ্গে ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশেই তাদের দেয়া হয়েছে নাগরিক নিশ্চয়তা। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পশ্চিমা সভ্যতা একটু একটু করে সেই নীতি থেকে সরে আসছে শুধু ইহুদী ধর্মাবলম্বীদের সুরক্ষার প্রশ্নেই নয়, অন্যান্য সংখ্যালঘুর বেলায়ও। আধুনিক বিশ্বে সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলার রাজনীতি অনুশীলনে যে সামঞ্জস্যতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে তা শুধু ভয়াবহই নয়, এর খেসারত হয়ত দিতে হবে আগামী কয়েক প্রজন্মকে। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্যই রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতি করে। কিন্তু সেই রাজনীতি যখন হয় প্রতিপক্ষের কূটকৌশলগত চাপিয়ে দেয়া আপোসের রাজনীতি, তখন সে রাজনীতিতে অপমৃত্য ঘটে মূলত মিত্র পক্ষেরই। পায়ের নিচ থেকে চোরা বালু সরে যাওয়ার মতো ক্ষমতায় থেকেও একটু একটু করে ক্ষমতা হারাতে হয় তাকে। ধর্মনিরপেক্ষ মনোভাবাপন্ন প্রগতিশীল সব সরকারেরই মনে রাখা উচিত, জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ কখনও আধুনিক সভ্যতার বন্ধু হতে পারে না। সাময়িক ক্ষমতা লাভের জন্য ওইসব অপশক্তির সঙ্গে আপোস করার মানে হচ্ছে তাদের পাতা ফাঁদে পা দেয়া। অসাম্প্রদায়িক-ধর্মনিরপেক্ষ সরকারগুলোকে ক্ষমতায় রেখেই দেশকে মৌলবাদের সূতিকাগার বানাচ্ছে তারা একটু একটু করে প্রতিদিন। এ সত্য যত দ্রুত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো বুঝতে পারবে এবং সে মতে তারা যৌথভাবে এই অপশক্তিকে মোকাবেলা করবে, ততই মঙ্গল। লেখক : সুইডেন প্রবাসী [email protected]
×