ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে শোক প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৩ মে ২০১৬

সংসদে শোক প্রস্তাব

সংসদ রিপোর্টার ॥ সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ফকিরের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মত শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এর আগে শোক প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই নেতার আকস্মিক মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ ও দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। দেশবাসী তাকে অনন্তকাল স্মরণ করবে। সোমবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে রেওয়াজ অনুযায়ী শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এর পর আলোচনা শেষে শোক প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এর আগে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া। মোনাজাত শেষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অন্যান্য কর্মসূচী স্থগিত করে অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এদিকে, অধিবেশনের আগে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পীকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের পক্ষে বিরোধীদলীয় হুইপ মোঃ নূরুল ইসলাম ওমর এবং অন্য সংসদ সদস্যরা মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সংসদে সাধারণ আলোচনায় অংশ নেনÑ সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ, আওয়ামী লীগের আনোয়ারুল আজীম আনার এবং জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মাটি ও মানুষের এই নেতা একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। জনগণকে সেবা দেয়ার পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন তিনি, যে কারণে সর্বস্তরের মানুষের কাছে তিনি শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ এই নেতার মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি কখনই পূরণ হওয়ার নয়। দু’দিন আগে আওয়ামী লীগের ময়ময়সিংহ জেলা কমিটির সম্মেলনে তিনি সারাদিন থেকেছেন। সফল করার জন্য দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ তিনি নেই, এটা আমরা ভাবতেও পারি না। তার পরও এই মৃত্যুকে আমাদের মেনে নিতে হবে। আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা মরহুমের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। তারা বলেন, পেশায় চিকিৎসক এই নেতা অত্যন্ত সজ্জন, সদালাপী ও অমায়িক ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি সব সময় নির্বাচনী এলাকায় থাকতে ভালবাসতেন। জনগণের সেবা করতেন। জনগণ আজীবন তাকে মনে রাখবে।
×