ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচনে রুহানিপন্থীদের বড় জয়

পার্লামেন্টে রক্ষণশীলদের ছাপিয়ে ইরানী নারীরা

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৩ মে ২০১৬

পার্লামেন্টে রক্ষণশীলদের ছাপিয়ে ইরানী নারীরা

ইরানের নতুন পার্লামেন্টে এই প্রথম ধর্মীয় নেতাদের চেয়ে বেশি সংখ্যায় আসন পেয়েছেন নারীরা। চলতি মাসেই পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন এ ১৭ জন নারী। ইরানের প্রেক্ষিতে একে বড় ধরনের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার দেশটির পার্লামেন্টের মাত্র ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছেন ধর্মীয় নেতারা। খবর এএফপির। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সংস্কারপন্থী ও উদারপন্থী রাজনৈতিক জোট দ্বিতীয় দফা পার্লামেন্ট নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে। শনিবার নির্বাচনের সরকারী ফল ঘোষণা করা হয়। ফলাফলে দেখা যায়, সংস্কারপন্থী ও উদারপন্থীরা তাদের রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছেন। ২০০৪ সালের পর এই প্রথম অনেক চরমপন্থী এমপি এবার পরাজিত হয়েছেন এবং অনেক বছরের বিচ্ছিন্নতার পর এই জয় সংস্কারপন্থীদের জন্য এক অসাধারণ প্রত্যাবর্তন। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের পর ২৯০ আসনের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ১৭ জন নারী এমপি হবেন। ১৯৭৯ সালে প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। তখন ২৯০টি আসনের মধ্যে ১৬৪টি আসনে জিতেছিলেন ধর্মীয় নেতারা। তারপরের বার পার্লামেন্টে ঠাঁই হয়েছিল ১৫৩ ধর্মীয় নেতার। এরপর থেকেই কমতে শুরু করে তাদের সংখ্যা। এরপর তৃতীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫ জনে, চতুর্থবারে ৬৭ জনে এবং পঞ্চমবারে ৫২ জনে। বিদায়ী পার্লামেন্টে ধর্মীয় নেতাদের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৭ জন। আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া নতুন পার্লামেন্টে সদস্য ১৬ ধর্মীয় নেতার মধ্যে ১৩ জনের রক্ষণশীল রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা রয়েছে, বাকি তিনজন সংস্কারবাদী। এই ১৭ নারী এমপির মধ্যে প্রায় সবাই সংস্কারপন্থী এবং বিদায়ী পার্লামেন্টের রক্ষণশীল নারী এমপিদের চেয়ে সংখ্যায় প্রায় দ্বিগুণ। এর আগে সবচেয়ে বেশি নারী এমপির সংখ্যা ছিল ১৪ জন। ইরানের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদের মধ্যে কয়েকজন ধর্মীয় নেতা এবং তারা আগে আইনপ্রণেতা ছিলেন। এদের মধ্যে একজন প্রেসিডেন্ট রুহানি এবং তিনি ১৯৮০ সাল থেকে ২০০০ পর্যন্ত এমপি ছিলেন। সাবেক দুই প্রেসিডেন্ট আয়াতুল্লাহ আকবর হাশেমী রাফসানজানী ও মোহাম্মদ খাতামীও পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন। ফলাফলে দেখা গেছে, নতুন পার্লামেন্টে ১৩৩টি আসন পাবে সংস্কারপন্থীরা, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ১৩টি আসন কম। তবে তারা রক্ষণশীলদের চেযে বেশি আসন পেয়েছেন। রক্ষণশীলরা পেয়েছেন ১২৫টি আসন। বাকি আসনগুলো পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠী। শুক্রবার ইরানের পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ করা হয়। কারণ প্রথম দফায় কোন প্রার্থী সর্বনিম্ন প্রয়োজনীয় ২৫ শতাংশ ভোট পাননি। প্রথম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি।
×