ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিখিল চন্দ্র হত্যাকাণ্ডের খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসে

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ২ মে ২০১৬

নিখিল চন্দ্র হত্যাকাণ্ডের খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসে

অনলাইন ডেস্ক॥ বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদার হত্যাকাণ্ড নিয়ে খবর বেরিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে। আজ সোমবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় গতকাল রবিবার পুলিশের তিনজনকে আটকের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এমন সব হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসলামী উগ্রপন্থিরা দায়ী বলে ধারণা করা হয়। এসব কথা বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ একটি রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘাতকরা পালানোর সময় তা ফেলে গেছে। টেলিফোন সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসলাম খান। তাঁর বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে টাঙ্গাইল পুলিশের কোনো ধারণা নেই। পুলিশ বলেছে, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নিজ দোকানের বাইরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন ব্যক্তি নিখিল চন্দ্র জোয়ারদারের ওপর হামলা চালায়। আসলাম খানের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ ঘটনায় স্থানীয় জামায়াতের সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম বাদশাকে (৫০) আটক করা হয়েছে। আরো আটক করা হয়েছে বিএনপির স্থানীয় কর্মী ঝন্টু মিয়া ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আমিনুল ইসলামকে। অতীতে এ দুটি দলের বিরুদ্ধে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও মানুষ হত্যাসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করায় দর্জি নিখিলের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মামলা করেছিলেন আমিনুল ইসসলাম। অভিযোগ প্রত্যাহারের আগেই নিখিলকে অল্প সময়ের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল। নিখিল হত্যায় ইসলামিক স্টেট'র দায় স্বীকারের প্রসঙ্গও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, জিহাদি ওয়েবসাইটগুলোতে নজরদারি করে এমন মার্কিন সংস্থার সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ এমনটাই জানিয়েছে। ইসলামের সমালোচনা করে মত প্রকাশ করেছেন এমন বুদ্ধিজীবী, ধর্মনিরপেক্ষ লেখক, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য, অধিকারকর্মীকে গত দুই বছরে হত্যা করেছে বাংলাদেশের উগ্রপন্থিরা। দেশে ইসলামিক স্টেট বা আন্তর্জাতিক কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপের উপস্থিতির কথা অস্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত সপ্তাহে তিনি সাম্প্রতিক এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য বিরোধী দলগুলোকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, দেশকে অস্থিতিশীল করতে এসব করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গোপালপুর ইউনিট জামায়াতের প্রধান হাবিবুর রহমান টেলিফোন সাক্ষাতকারে বলেছেন, স্থানীয় জামায়াতের সেক্রেটারি বাদশাকে যে অভিযোগে আটক করা হয়েছে তা পুরোপুরি মিথ্যা বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা, 'এ রকম কোনো হত্যাকাণ্ডে জামায়াতের কোনো নেতা জড়িত নন। বাদশাকে মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে পুলিশ আটক করেছে, যাতে তারা জনগণকে দেখাতে পারে যে, তারা তদন্তে অগ্রগতি করেছে'। হাবিবুর রহমান ব্যক্তিগতভাবে আমিনুল ইসলামকে চেনেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন তিনি এমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
×