ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আমতলীতে টিওবয়েলের পানি পান করে শিক্ষিকাসহ ৪ শিশু অসুস্থ

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ১ মে ২০১৬

আমতলীতে টিওবয়েলের পানি পান করে শিক্ষিকাসহ ৪ শিশু অসুস্থ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাজারখালী গ্রামের আবদুল রাজ্জাক মাষ্টারের বাড়ীর টিওবয়েলের পানি পান করে শনিবার রাতে শিক্ষিকাসহ ৪ শিশু অসুস্থ হয়ে পরেছে। এদেরকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থা সংকটজনক হলে ওই রাতেই পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বাজারখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মাহিনুর বেগম বাড়ীতে ৬ শিশুকে রাতে প্রাইভেট পড়াচ্ছিল। ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে ওই শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের বিরতি দিলে শিশুরা টিওবয়েলের পানি পান করে। এরপরে এক এক করে শিশুরা বমি দিয়ে অসুস্থ হয়ে পরে। রাত দশটার দিকে গুরুতর অসুস্থ হাবিবা আখতার (১০), নাইম (১১), জান্নাতি (১২), সুমাইয়া (১০) ও শিক্ষিকা মাহিনুর বেগমকে (৩০) আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ তেংমং জানান অসুস্থ শিক্ষিকাসহ ৪ শিশু’র পরীক্ষা করে দেখা যায় তাদের পাকস্থলীতে বিষের আলামত রয়েছে। এদের দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আকন জানান রাতেই গুরুতর অসুস্থদের পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে এদের ভর্তি করা হয়েছে। আবদুল রাজ্জাক মাষ্টারের ছেলে মো.জসীম উদ্দিন জানান ওই টিওবয়েলের মধ্যে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করেছে। ওই টিউবয়েলের পানি খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পরেছে। তিনি আরও জানান আমাদের পুকুরেও বিষ প্রয়োগ করেছে। আমতলী থানার উপ-পরিদর্শক মো. শহীদুল ইসলাম জানান খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। টিওবয়েলের মাথা খুলে তিনটি খোলা পেনসিল ব্যাটারী উদ্ধার করা হয়েছে। আমতলী উপজেলা সেনেটারী পরিদর্শক সাবেরা পারভিন জানান টিওবয়েলের মধ্যে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য ২ লিটার পানি ঢাকার পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এ টিওবয়েলের পানি পান ও ব্যবহার না করার জন্য নিষেধ করা হয়েছে।
×