ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব

গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১ মে ২০১৬

 গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৩০ এপ্রিল ॥ গাজীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ব্যাপক মারধর ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। নিহত মোঃ শাহজাহান (৪২) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাছা এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। শাহজাহান সাবেক গাছা ইউপির ১নং ওয়ার্ড (সিটি কর্পোরেশনের ৩৬ নং ওয়ার্ড) আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। নিহতের ভাই আফাজ উদ্দিন ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন আগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজারের গাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল ম-ল ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। ওই ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শফিকুল ইসলাম শফিকের লোকজন স্থানীয় গাছা বাজারের একটি দোকানের সামনে পেয়ে প্রতিপক্ষের রমজানকে মারধর করে। রমজান বাড়িতে গিয়ে তার মামা শাহজাহানকে ঘটনাটি জানায়। পরে শাহজাহান তার আহত ভাগ্নে রমজানকে নিয়ে মাইক্রোবাসযোগে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে তারা গাছা বঙ্গবন্ধু কলেজ মোড়ে পৌঁছলে শফিকুল ইসলাম শফিক, মজিবুর, মোহাম্মদ আলী, আল-আমীন জুয়েলসহ প্রতিপক্ষের ২০-২৫ জন সশস্ত্র লোক মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে এবং শাহজাহানকে টেনেহিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামায়। এ সময় তারা শাহজাহানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় এবং লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। এ সময় হামলাকারীরা আহত শাহজাহানকে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। আহত শাহজাহান প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ওই স্থানে পড়ে ছিল। পরে তার স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে ঢাকার উত্তরায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে (রিজেন্ট হাসপাতাল) নিয়ে যায় স্বজনরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহান মারা যান। শনিবার দুপুরে নিহত শাহজাহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়। লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকারী জয়দেবপুর থানার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান, নিহতের মাথা, হাত, পা, বুক, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও ভাঙ্গা রয়েছে।
×