ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মধ্যপাড়া কঠিনশিলা খনিতে আশার আলো

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১ মে ২০১৬

মধ্যপাড়া কঠিনশিলা খনিতে আশার আলো

শ.আ.ম হায়দার, পার্বতীপুর ॥ মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আসা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবারে খনিতে গিয়ে চোখে পড়ে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে সদ্য আসা ট্রাক বোঝাই ওয়াটার এ্যান্ড হোস পাইপের একটি চালান। খনির ভূগর্ভে কাজের জন্য এগুলো ব্যবহার হবে। কদিন আগে এসেছে রেইজ বোরিং মেশিন। এটি ভূগর্ভের উন্নয়ন ও শিলা উত্তোলনের প্রধান খননযন্ত্র। কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে চীন, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানিকৃত মালামাল আসছে সমুদ্র পথে । বেশকিছু চালান রয়েছে পথিমধ্যে। অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো খনিতে আসবে বলে তারা আশা করছেন। সূত্রমতে খনি কর্তৃপক্ষ ৮৫ কোটি টাকা মূল্যমানের ৩৬টি এলসি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসির অনুকূলে স্থাপন করেছে। জিটিসি ২০১৫ সালের নবেম্বরে এলসিগুলো গ্রহণ করার পর অতি দ্রুততার সাথে সকল যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানি করে খনিতে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এখন যন্ত্রপাতি বসানোর জন্য খনিতে মেইনটেনেন্স ও উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। কদিনের মধ্যে আরও জোরেশোরে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জিটিসি। উৎপাদন হঠাৎ বন্ধ হলে খনি পুনরায় চালু হবে কি না এ নিয়ে নানা মন্তব্য ও কথাবার্তা শুরু হয়। তবে আমদানিকৃত মালামাল আসা শুরু হলে প্রেক্ষাপট পাল্টে যায়। শঙ্কা কেটে গিয়ে আশার আলো দেখা যায়। খনি সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মালামাল যখন আসা শুরু হয়েছে তখন বিলম্ব হলেও খনি অবশ্যই চালু হবে। খনিতে প্রায় ৮ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ থাকায় সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকেও বিদেশী এক্সপার্ট ও মাইনারদের বসে থেকে বিপুল পরিমাণ বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হচ্ছে।
×