ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ভয়াবহ লোডশেডিং ॥ জনজীবন মারাত্মক বিপর্যস্থ

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

টাঙ্গাইলে ভয়াবহ লোডশেডিং ॥ জনজীবন মারাত্মক বিপর্যস্থ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ গ্রীষ্মের প্রচ- তাবদাহে পুড়ছে পথঘাট। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের তীব্র লোডশেডিং। এতে জনজীবন হয়ে উঠেছে অতিষ্ঠ। কিছুক্ষণ কাজ করার পর হাপিয়ে উঠছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দিনের বেলায়, এলাকাভেদে ৯/১০বার লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামগঞ্জের অবস্থা আরও ভয়াভহ। গত কয়েক দিন ধরে এর প্রকোপটা যেন আরও বেড়ে গেছে। হঠাৎ করে লোডশেডিং বাড়ার পেছনে কম উৎপাদনকে দায়ী করছেন বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে শিক্ষার্থীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরিতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘিœত হচ্ছে। প্রচ- গরমে শিশু এবং বৃদ্ধরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। টাঙ্গাইলের হাসপাতালগুলোতে দিনদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালের বেডে জায়গা না পেয়ে বারান্দাগুলোতে ভীড় জমাচ্ছে। এদিকে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় বোরো ধান আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা করছে কৃষকরা। এ বিষয়ে বারবার অভিযোগ করেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। বিদ্যুৎ বিব্রাটে কৃষি বিভাগ বোরো আবাদে লক্ষ্যমাত্রা পুরণ নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছে। জেলা বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এমনটি হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশা করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। টাঙ্গাইলে চলতি বছরে এক লক্ষ ৬৬ হাজার ৬২১ হেক্টর জামিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষমাত্রা রয়েছে। শুরুর দিকে আবহাওয়া ও সেচ ব্যবস্থা ভাল থাকায় এ বছর এক লক্ষ ৬৮হাজার ৭৬৯ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হচ্ছে। আর এতে করে ৬ লক্ষ ৩২ মে.টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বিদ্যুৎ চালিত পাম্প ও আবাসিক গ্রাহকসহ টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের মোট চাহিদা রয়েছে ১৮০ মেগাওয়াট। কিন্তু বর্তমান সময়ে সরবারোহ হচ্ছে অর্ধেকেরও কম। আর ১৫/২০ দিন পরেই এ অঞ্চলে ধান কাটা শুরু হবে। চাষের শুরুর দিকে চাহিদা মত বিদ্যুৎ সরবারোহ করা হলেও গত ৮/১০ দিন যাবৎ বিদ্যুতের লোডশেডিং ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। সারাদিনে ও রাতে মাত্র ৩/৪ ঘন্টা বিদ্যুত থাকছে। আর এতে চাষীরা ধান চাষের শেষের দিকে এসে সময় মত সেচ দিতে পারছে না। টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হাশিম জানান, চাহিদামত বিদ্যুৎ দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারপরও বিদ্যুৎ বিভাগ তা দিতে পারছে না। টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মুখলেছ গণি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। টাঙ্গাইলের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, মৃণাল ক্লান্তি সেন বলেন, খুব শিঘ্রই এ অবস্থা থেকে উত্তোলন হবে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।
×