ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কলাবাগানে জোড়া খুন ॥ ৫ খুনী চিহ্নিত

প্রকাশিত: ০৭:৪৬, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

কলাবাগানে জোড়া খুন ॥ ৫ খুনী চিহ্নিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরার প্রচুর ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত ফুটেজের মধ্যে সন্দেহভাজন খুনী হিসেবে ৫ যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই পাঁচ যুবকের দৌড়ে পালানোর দৃশ্য ধরা পড়েছে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, হত্যাকা-ের ঘটনায় তিন জন শনাক্ত হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গত ২৫ এপ্রিল কলাবাগানের ৩৫ নম্বর আছিয়া নিবাসের দোতলায় ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিয়ে বাসায় ঢুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির খালাত ভাই, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা ও ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়কে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীদের চাপাতির আঘাতে আহত হন বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পারভেজ মোল্লা। পালানোর সময় চাপাতির আঘাতে আহত হন পুলিশ কর্মকর্তা মমতাজ হোসেন ও কলেজছাত্র আনোয়ার হোসেন লিঙ্কন। পারভেজ মোল্লা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী হত্যাকা-ে সাত জঙ্গী অংশ নেয়। তারা হত্যাকা- ঘটিয়ে প্রকাশ্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে বেরিয়ে যায়। ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করে পিছু নেয়ায় কলেজছাত্র লিঙ্কনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আর ডলফিন গলিতে যাওয়ার সময় বাঁধার মুখে পড়লে কলাবাগান থানার এএসআই মমতাজ হোসেনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ ছাড়া হত্যাকারীরা যে পথে পালিয়ে যায়, সে পথে থাকা একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেই ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। ফুটেজে ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী পাঁচ যুবককে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই যুবকরা হত্যাকা-ে জড়িত। যুবকদের দৌড়ে পালানোর অঙ্গভঙ্গি প্রমাণ করছে, তারা হত্যাকা-ে জড়িত। তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামামান খান কামাল ধানম-ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের বলেন, কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় তিনজন শনাক্ত হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। হত্যাকা-ের তদন্ত সঠিক পথেই এগিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সবকিছু জানানো হবে। আল কায়েদার নামে হত্যার দায় স্বীকার করে যে বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে সরকারের সন্দেহ রয়েছে। দেশে আইএস বা আল কায়েদার কোন শাখার তৎপরতা থাকার তথ্য ভিত্তিহীন।
×