ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কেরির ফোনে জামায়াত বিএনপির প্রতিধ্বনি ॥ শেখ সেলিম

প্রকাশিত: ০৭:৩৯, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

কেরির ফোনে জামায়াত বিএনপির প্রতিধ্বনি ॥ শেখ সেলিম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ইউএসএআইডি কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান হত্যার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির টেলিফোনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, আজ জন কেরি যে কথা বলে, বিএনপি-জামায়াতও সেই একই কথা বলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় শেখ সেলিম আরও বলেন, জন কেরি আমাদের শিক্ষা দেয়, শেখ হাসিনাকে ফোন করে বলে তাদের নাগরিক জুলহাস মান্নান হত্যাকা-ের বিচার করুন। কিন্তু ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নৃশংস হত্যাকা-ের সময়, বিশ্বের জঘন্যতম এই হত্যাকা-, যেখানে মা-শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল নির্মমভাবে, তখন জন কেরিরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে বাংলাদেশে খুনের রাজনীতির ইন্ধন দিয়েছিল। আগামী ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচী প্রস্তুত করতেই এ যৌথ সভার আয়োজন হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তিন যুগ হচ্ছে এবার। তাই এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা দেবে আওয়ামী লীগ। এদিন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভাও হবে। বৈঠকে মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শেখ ফজলুল করিম সেলিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আরও বলেন, আজও আমেরিকায় অবস্থান করছেন বঙ্গবন্ধুর তিন খুনী; কিন্তু আপনারা তাদের এখনও হস্তান্তর করছেন না। এদের রাজনীতি হচ্ছে বাংলাদেশ যাতে এগিয়ে যেতে না পারে। এদের রাজনীতি হচ্ছে যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত না থাকে। এরা বঙ্গবন্ধুকে বিপর্যস্ত করেছিল, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারে। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকেও হত্যা করা হয়েছে। জন কেরিরা সে কথা বলেন না। তারা উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলে। এই জন কেরি, যখন যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি হয় তখনও প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন- ‘ফাঁসি না দিয়ে পারা যায় না’। আমার দেশে গণহত্যা করেছে, তাদের সমর্থনে সুপারিশ করেÑ এরা কারা? এদের একাত্তরের ভূমিকা মাথায় রেখে জনগণ যেন বিভ্রান্ত না হয়। শেখ সেলিম বলেন, জুলহাসের খুনীরা যেই হোক না কেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা তাদের খুঁজে বের করবই। তাদের বিচারও করব। কিন্তু দেশের জনগণকে বলব, ষড়যন্ত্রকারীদের কোনভাবেই উৎসাহিত করবেন না। কারণ আমরা হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করি না। সে রাজনীতি বঙ্গবন্ধু করেননি, শেখ হাসিনাও করেন না। আর বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেন কোনভাবেই মাথাচাড়া না দিয়ে উঠতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। যে যেখানেই কোন ষড়যন্ত্র দেখবেন, সঙ্গে সঙ্গেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাবেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো হত্যাকা- হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবগুলোর বিচার আমরা করেছি, আমাদের দলের কেউ হলেও বিচার করা হয়েছে। জগন্নাথের ছাত্রলীগ কর্মীদেরও ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ দমনে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি, যে কেউই হোক অপরাধী, তার বিচার হবেই।
×