ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বহুল আলোচিত বাফুফে নির্বাচন আজ

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৩০ এপ্রিল ২০১৬

বহুল আলোচিত বাফুফে নির্বাচন আজ

রুমেল খান ॥ অনেক অপেক্ষা, গুঞ্জন আর আলোচনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। নির্বাচনের ভেন্যু ঢাকার র‌্যাডিসন হোটেলের ব্লু গার্ডেন। দুপুর দুটো থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ভোটার (ডেলিগেট) সংখ্যা ১৩৪। ভোটগ্রহণের আগে সকাল এগারোটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত হবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ইতোমধ্যেই ঢাকায় এসেছেন ফিফা ও এএফসি প্রতিনিধি সি মুন ইয়ং। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। ২০০৮ সালে প্রথম এবং ২০১২ সালে দ্বিতীয় বার নির্বাচন হয়েছিল। এর আগে ১৯৭২-২০০৭ সাল পর্যন্ত বাফুফেতে যত কার্যনির্বাহী কমিটি দায়িত্ব পালন করেছে, সেগুলোর সবই ছিল সরকার কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত। পরে বিশ^ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা নতুন নিয়ম প্রবর্তন করে। সেটা হলো কোন্ দেশে ফুটবল ফেডারেশনে সরাসরি নির্বাচন হবে, এখানে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। ৬২ মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে এবারের বাফুফের নির্বাচনকে ঘিরে। এর মধ্যে চারটি ছিল সভাপতি পদে। যার মূল্য চার লাখ টাকা। সিনিয়র সহ-সভাপতিও ছিলেন চার জন। যার মূল্য তিন লাখ টাকা। সহ-সভাপতি পদে ১২ জন। এই পদের মূল্য ছয় লাখ টাকা। পদের সদস্যের বিপরীতে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ৪০টি। যার মূল্য দশ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোট ২৩ লাখ টাকার মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়। ২১ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সভাপতি পদ। বাফুফের নির্বাচনে সভাপতি পদে চার প্রার্থী থাকলেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুজনের মধ্যে। তারা হচ্ছেন বর্তমান সভাপতি এবং সম্মিলিত পরিষদের কাজী মোঃ সালাউদ্দিন এবং নরসিংদী-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এবং বাঁচাও ফুটবল পরিষদের কামরুল আশরাফ খান পোটন। এর আগে সভাপতি পদে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী হেলাল এবং নুরুল ইসলাম নুরু। হেলাল সমর্থন করেছেন সালাউদ্দিনকে এবং নুরু সমর্থন করেন পোটনকে। প্রধান দুই প্যানেলের বাইরে একাধিক প্রার্থী আছেন, যারা কোন প্যানেলের ননÑ স্বতন্ত্র। এরা হলেন সহ-সভাপতি পদে তাবিথ আওয়াল এবং শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান; সদস্যপদে আমের খান এবং আসাদুজামান মিঠু। ক্রিকেট, হকি বা অন্য কোন ক্রীড়া ফেডারেশনে যে নিয়মে বা যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, ফুটবল ফেডারেশনে নির্বাচন সেভাবে হয় না। এখানকার নির্বাচনে সরকারের কোন হস্তক্ষেপ বা চাপ থাকে না। ফিফার নিয়ম অনুযায়ীই নির্বাচন হতে হবে। এই নির্বাচনে সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং সদস্য পদে নির্বাচন হবে। গত ২০ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় শেষ হয় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়। সোয়া ৬টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহউদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন চার জন। এদিন তিন জনই নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এরা হলেন মনজুর কাদের, লোকমান হোসেন ভুঁইয়া এবং দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। ফলে বাফুফে নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে বাফুফের নির্বাচন কমিশন। মোট ১১ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। সদস্যপদ থেকে নাম প্রত্যাহার করেন : আজমল আহমেদ তপন, মুস্তাফিজুর রহমান মাইনু, আব্দুল মান্নান, শেখ নিজাম উদ্দীন, একেএম মমিনুল হক সাঈদ, দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল।
×