ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁচাও ফুটবল পরিষদের নির্বাচনী প্রচার

প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রত্যাশা

প্রকাশিত: ০৬:০২, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রত্যাশা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বৃহস্পতিবার। মধ্য বৈশাখের ভর দুপুর। প্রখর খরতাপ। ভ্যাপসা ও প্রচ- গরম। গুলশানের একটি হোটেলের পার্কিং জোনে শামিয়ানা টাঙ্গানো হয়েছে বেশ বড় পরিসরে। বসানো হয়েছে এয়ারকন্ডিশনার এবং স্ট্যান্ড ফ্যান। তারপরও অনুষ্ঠানে আসা সবাই ঘামছেন। এদিকে ঘড়ির কাঁটা ঘুরেই যাচ্ছে, অনুষ্ঠান শুরুর কোন নামগন্ধ নেই। এর মধ্যেই আবার গোদের উপর বিষফোঁড়াÑ চলে গেছে বিদ্যুত! নেই জেনারেটরের ব্যবস্থা। সবার নাভিশ^াস ওঠার মতো অবস্থা। এক সময় বিদ্যুত এলো, অনুষ্ঠানও শুরু করলেন আয়োজকরা। ততক্ষণে অপচয় হয়ে গেছে পাক্কা পৌনে দুই ঘণ্টা! বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে ‘বাঁচাও ফুটবল পরিষদ’-এর মতবিনিময় অনুষ্ঠানের কথা। অনুষ্ঠানে ফোরামের ৬৭ ডেলিগেটের মধ্যে সরেজমিন ১৫ জনের বেশি আসেননি বলেই মনে হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার, সংগঠক, বিভিন্ন ক্লাবের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং ডেলিগেটরা। উল্লেখযোগ্য ছিলেনÑ মনজুর কাদের, জাকারিয়া পিন্টু, লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, মোজাফফ্র হোসেন পল্টু, ইসমাইল হোসেন সম্রাট, খন্দকার ওয়াসিম ইকবাল প্রমুখ। এই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী কামরুল আশরাফ খান পোটন বলেন, ‘কারও সমালোচনা করতে চাই না। আমি প্রত্যেক জেলাতে একটা করে স্পন্সর যোগাড় করে দেব। এক কোটি টাকার এফডিআর করলে তার আয়েই ডিএফএগুলো চলতে পারবে। জাতীয় দলকেও স্পন্সর দেব। প্রত্যেক ক্লাবের খেলোয়াড়দের জিম ও খাওয়া-দাওয়ার সুব্যবস্থা করব।’ পোটন আরও বলেন, ‘আমরা নাকি হুমকি দিয়েছি সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থীদের। কিভাবে তাদের হুমকি দেব? শুনেছি এ নির্বাচনে নাকি আমাদের সঙ্গে সরকারের লোকজন আছে। সে কারণে আজকে আমাদের অনুষ্ঠানে পাপন ভাই এবং শেখ সোহেল ভাই আসেননি। তাদের নিষেধ করে দিয়েছি। চাই না কাদা ছোড়াছুড়ি। এখানে ভোটের অধিকার সবার। কোন ভোটারকে হুমকি দিয়ে ভোট পাওয়া সম্ভব না।’ পোটন আরও বলেন, ‘আমি জিতলে ওয়াদার বরখেলাপ করব না। জেলা ও ক্লাবগুলোকে আবারও সক্রিয় করব। ক্লাবগুলোর আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনব। নির্বাচিত হলে এক মাসের মধ্যে প্রত্যেক ডেলিগেটকে আইডি কার্ড বানিয়ে দেব। এটা দেখিয়ে তারা আমার কাছে যেকোন সাহায্য চাইতে পারবেন।’ বাঁচাও ফুটবল আন্দোলনের প্রধান এবং শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলকে অন্ধকার থেকে সঠিক আলোতে আনতে চাই।’ কাউন্সিলরদের কাছে ভোট চেয়ে কাদের বলেন, ‘আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ করব আগামী চার বছরের জন্য আমাদের নির্বাচিত করে একবারের জন্য সুযোগ করে দিন। দেখেন আমরা কী করতে পারি। আমাদের প্যানেলে যে সভাপতি এই পদের জন্য যোগ্য। সারা বাংলাদেশে তার নেটওয়ার্ক আছে। ফুটবল চালাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। তিনি ব্যবসায়ী ও বিত্তশালী। একবার সুযোগ দেন। যদি পরিবর্তন না করতে পারি তাহলে কথা দিচ্ছি ™ি^তীয়বারের মতো আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসব না। পোটনের মতো একজন সাকসেসফুল বিজনেস ম্যানই পারবেন ফুটবলের উন্নতি করতে।’ সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে কয়েক দিন আগেও ছিলেন বাঁচাও ফুটবলের দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল। পরে নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। সাফ ফুটবলের ব্যর্থতা এবং ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অধপতনের বিষয়টি আলোকপাত করে টুটুল বলেন, ‘চট্টগ্রামের ইজিএমে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অডিট রিপোর্ট পাস হয়েছে। আর কোন এজিএম বা ইজিএমে পাস না করে অডিট রিপোর্ট ফিফার কাছে পাঠানো হয়েছে, তাও চার বছরেরটা একসঙ্গে!’
×