ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে বিনাসুদে ঋণ দেয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে বিনাসুদে ঋণ দেয়ার আহ্বান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উৎপাদনমুখী কর্মকা-ের জন্য সরকারকে চরাঞ্চলের কৃষকদের মাঝে বিনাসুদে ঋণ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘চরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন কেন জরুরী’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আবদুর রাজ্জাক বলেন, স্থানীয় সরকার, গ্রামীণ উন্নয়ন ও সমবায়ের সমন্বিত উদ্যোগে চর এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকার উন্নয়নের জন্য কৃষি, হাঁস-মুরগি পালন, গরু মোটতাজাকরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা যেতে পারে। এভাবে সমন্বিত কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে চর এলাকার উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি বলেন, চরাঞ্চলে বাদাম ও মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন জাতের সবজির চাষ করা যেতে পারে। তবে এসবের বাজারজাতকরণের নিশ্চয়তা অবশ্যই সরকারকে দিতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন এমপি বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় চর এলাকার মানুষেরা সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে আছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এসব চরাঞ্চলে উন্নয়নের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে অগ্রাধিকার দেয়ার দরকার। তিনি আরও বলেন, চর এলাকার জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করলেই হবে না, বাস্তবায়নকারী সংস্থার ওপরও জোর দিতে হবে। বিশেষ অতিথি কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মকবুল হোসেন এমপি বলেন, চরাঞ্চলের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে চরের জমি ব্যবহার করতে না পারলে উৎপাদনের গতি হ্রাস পাবে। তাই স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে চরের উৎপাদন ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে হবে। মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল চর এ্যালায়েন্সের চেয়ারম্যান খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, পর পর গত দুই বাজেটে চরের এলাকার উন্নয়নে ৫০ কোটি টাকা করে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। কিন্তু এসব অঞ্চলের উন্নয়নে একটি পয়সাও খরচ হয় নাই। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সরকার চাইছে চরের উন্নয়ন হোক। কিন্তু বাজেটে শুধু বরাদ্দ দিলেই হবে না, সেই বরাদ্দকৃত টাকা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক গুরুত্ব বাড়াতে হবে। পাশাপাশি সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বরাদ্দের টাকা ব্যয় করা যায় কিনা সে ব্যাপারেও প্রস্তাব রাখেন খন্দকার ইব্রাহিম।
×