ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নানা উদ্যোগেও সচল হচ্ছে না পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেনার টার্মিনাল

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

নানা উদ্যোগেও সচল হচ্ছে না পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেনার টার্মিনাল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ট্যারিফ না কমায় নানা উদ্যোগেও কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ে নির্মিত দেশের একমাত্র ইনল্যান্ড কনটেনার টার্মিনালটি সচল হচ্ছে না বলে অভিযোগ জাহাজ মালিক ও ব্যবহারকারীদের। এমনকি ৪০ শতাংশ তুলা ও ক্যাপিটাল মেশিনারিজ পানগাঁও দিয়ে খালাস করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করার পরও এক্ষেত্রে কোন কাজ হয়নি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে অস্পষ্টতা আছে ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি সেটিও স্থগিত করা হয়। এ অবস্থায় মুনাফার নিশ্চয়তা না থাকায় এ রুটে জাহাজ চালাচ্ছেন না বেসরকারী অপারেটররাও। সড়কপথের বিকল্প হিসাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নৌপথে কনটেনার পরিবহনে ২০১৩ সালের শেষ দিকে কেরানীগঞ্জে নির্মিত পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনালটি চালু করা হয়। আড়াই বছরেও এই টার্মিনালটি ব্যবহারে ব্যবসায়ীদের সাড়া না দেখে পানগাঁও সচল করতে গত সেপ্টেম্বরে বিভিন্ন চার্জ কমিয়ে ট্যারিফ পুনর্নির্ধারণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনও সেটি কার্যকর হয়নি। এ অবস্থায় লোকসান দেখে পানগাঁওয়ের জন্য লাইসেন্স নিলেও এই রুটে জাহাজ চালাচ্ছেন না মালিকরা। এদিকে খালি কনটেনারের ফ্রি টাইম না থাকায় এখানে কনটেনার দিতেও অনীহা কনটেনার এজেন্টদের। ব্যবহারকারীদের মতে, এই রুটকে সচল করতে হলে পানগাঁওয়ের ট্যারিফ কমানোর পাশাপাশি জাহাজের জন্য শিডিউল নির্দিষ্ট করতে হবে। নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান জানান, ট্যারিফ কমানোর বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করছে। তবে পানগাঁও সচল করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বছরে দেড় লাখ টিইইউএস কনটেনার হ্যান্ডলিংয়ের সামর্থ্য থাকলেও আড়াই বছরে পানগাঁও রুটে পরিবহন হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৬৩৩ টিইউএস। চট্টগ্রাম বন্দরের কেনা তিনটি জাহাজ ভাড়া নিয়ে একমাত্র সামিট পোর্ট এলায়েন্স বর্তমানে এই রুটে জাহাজ চালাচ্ছে।
×