ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেক্সপীয়র কণিকা

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

শেক্সপীয়র কণিকা

* শেক্সপীয়র নিজের নামের শেষাংশ দশ রকম বানানে লিখতেনÑ ঝযধপশংঢ়বধৎব, ঝযধশংঢ়বৎব, ঝযধশ-ঝঢ়বধৎব, ঝযধপশংঢ়বৎ, ঝযধপশংঢ়ববৎব, ঝযধশবংঢ়বধ, ঝযধমংঢ়বৎ, ঝযধীনবৎৎফ, ঝযধশীঢ়বৎব এবং ঝযধপশবংঢ়ব। বুদ্ধদেব বসু বলতেন শেক্সপীয়রের নামের দ্বিতীয় অংশটি বড্ড অস্থির। * শেক্সপীয়রের ভা-ারে ছিল পঁচিশ হাজার শব্দ। তার নাটকে দু’হাজার নতুন শব্দ যোগ করেছিলেন তিনি। নষধহশবঃ, মড়ংংরঢ়, ধংংধংংরহধঃরড়হ, পযধসঢ়রড়হ, মবহবৎড়ঁং ইত্যাদি শব্দ তিনিই প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। * কয়েকশ’ নতুন শব্দ বন্ধ বা চযৎধংবও যোগ করেছেন তিনি ইংরেজি ভাষায়। যেমন- রহ সু সরহফ’ং বুব, বি যধাব ংববহ নবঃঃবৎ ফধুং, ধ ঢ়ড়ঁহফ ড়ভ ভষবংয, ঃযব যিববষ রং পড়সব ভঁষষ পরৎপষব, ধং মড়ড়ফ ষঁপশ ড়িঁষফ যধাব রঃ, সঁৎফবৎ সড়ংঃ ভড়ঁষ ইত্যাদি। * শেক্সপীয়রের স্কুলের সময়সূচী ছিল সকাল ছ’টা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা। সারা দিন প্রার্থনা আর লাতিন ভাষা শেখানো হতো সেখানে। পনেরো বছর বয়সে স্কুলে থেকে বেরোনোর পর সম্ভবত অর্থকষ্টের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা আর হয়ে ওঠেনি। * শেক্সপীয়র টাকা পয়সা উপার্জন করেছিলেন ভালই। অর্জিত টাকা জমিয়ে রাখার চেয়ে সম্পত্তি কেনার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল বেশি। জন্মস্থান স্ট্র্যাটফোর্ড অন এভন এর দ্বিতীয় বৃহত্তম বাড়িটি কিনেছিলেন তিনি। এবং লন্ডন কর্তৃপক্ষের কাছে ‘কোট অব আর্মস’ (ঈড়ধঃ ড়ভ অৎসং) এর জন্য আবেদন করেছিলেন। এটি হচ্ছে সমাজে প্রচুর ধন সম্পত্তিওয়ালা বিশিষ্টজনের প্রতীক। * আঠারো বছর বয়সে আন হ্যাথ ওয়ে কে বিয়ে করেন তিনি। শেক্সপীয়র এবং আন দম্পতির তিন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড় সুযানা। তারপর যমজ হ্যামনেট ও জুডিথ। হ্যামনেট অল্প বয়সে মারা যান। পুত্রর মৃত্যুর পর পরই তিনি ‘হ্যামলেট’ নাটকটি লেখেন। * বায়ান্না বছর বয়েসে মারা যান শেক্সপীয়র। তার সমাধিতে অদ্ভুত ধরনের এপিটাক লেখা আছে ‘বন্ধু, মিনতি করছি কবরে যা আছে তা ওঠাবে না। যেমন আছে তেমন থাকলে আশীর্বাদ পাবে। আর যে আমার দেহাবশেষ নাড়াচাড়া করবে তার ওপর অভিশাপ নেমে আসবে।’ * তার ধন সম্পত্তির বেশির ভাগ তিনি দিয়েছেন তার দুই মেয়ে ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। টাকা পয়সা দিয়েছিলেন স্ট্র্যাটফোর্ডের গরিবদের। কিছু টাকা দিয়েছিলেন থিয়েটারের তিন বন্ধুকে তার স্মৃতিতে তিনটি আংটি কিনে পরার জন্য। হ শেক্সপীয়রের ব্যবহার করা কোনো জিনিস, জামাকাপড় বই বা চিঠিপত্র এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। শেক্সপিয়ার ৩৮টি নাটক লিখেছিলেন। এসব নাটকে অনেক নতুন শব্দ ও অংশবাক্য (ঢ়যৎধংবং) সংযোজন করেছিলেন যা এখন ইংরেজী ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে যেমন- গুড রেডিয়েন্স (এড়ড়ফ জরফফধহপব) : এর অর্থ কোন কিছু সহজে ত্যাগ করা বা কোন দাবি না রাখা। এই শব্দাংশটি ১৬০৯ সালে তার ‘ট্রয়লাস এ্যান্ড ক্রেসিডা’ নাটকে ব্যবহার করেন। ব্রেক দ্য আইস (ইৎবধশ ঃযব ওপব) : শব্দাংশটি ‘দ্য টেমিং অফ দ্য শ্রু’ নাটকের। ১৫৯০ সাল শেক্সপিয়ার এ নাটকটি লিখেছিলেন। এর অর্থ সমাজের বেখাপ্পা পরিস্থিতি থেকে নিজেকে পরিত্রাণ দেয়া। অন্য কথায় মৃত্যু। উইল্ড গুজ চেজ (ডরষফ এড়ড়ংব ঈযধংব) : এ অংশটি ’রোমিও জুলিয়েট নাটকের। এর অর্থ এমন কিছুর সন্ধান করা যা সহজ প্রাপ্য নয়। ১৫৯৭ সালে এ নাটকটি লেখেন তিনি। লাভ ইজ ব্লাইন্ড (খড়াব ওং ইষরহফ) : ‘মার্চেন্ট অফ ভেনিস’ নাটকটি মঞ্চায়নের সময় এ শব্দাংশটি পাওয়া যায়। ১৬০৫ সালে নাটকটি প্রথম মঞ্চায়িত হয়। এর অর্থ ভালবাসার তীব্রতা বোঝানো। ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড (ইৎধাব ঘবি ডড়ৎষফ) : এর অর্থ সামাজিক ইতিহাসের বিশেষ মুহূর্ত। এটি তার ‘টেম্পটেস্ট’ নাটকের। ১৬১০ থেকে ১৬১১ সালের মধ্যে তিনি এ নাটকটি লেখেন। ন্যেকেড ট্রুথ (ঘধশবফ ঞৎঁঃয) : ‘লাভ’স লাভর’স ট্রুথ’ নাটকের বাক্যাংশ এটি। ১৫৯০ সালে লেখা হয় এ নাটকটি। এর অর্থ হচ্ছে চরম সত্যি। গ্রিন আইড মনস্ট্রার (এৎববহ ঊুবফ গড়হংঃবৎ) : ১৬০৩ সালে প্রথম মঞ্চায়িত ‘ওথেলা’ নাটকের বাক্যাংশ এটি। এ অংশটি দিয়ে তিনি বুঝিয়েছিলেন কারো ইর্ষান্বিত দৃষ্টি। বেটেড ব্রিথ (ইধঃবফ ইৎবধঃয) : এটিও ‘মার্চেন্ট অফ ভেনিসে’র বাক্যাংশ। যার অর্থ অতি উদ্বিগ্ন অথবা উত্তেজিত। ফাইট উইথ ফায়ার (ঋরমযঃ ডরঃয ঋরৎব) : এটি তার ‘কিং জন’ নাটক থেকে নেয়া বাক্যাংশ। যার অর্থ হচ্ছে ইট মারলে পাটকেল মারা অর্থাৎ একইভাবে শত্রুর মতো করেই শত্রুকে মারা। লাফিং স্টক (খধঁমযরহম ঝঃড়পশ) : ‘দ্য মেরি ওয়াইভস অব উয়িন্ডসর’ নাটকের বাক্যাংশ এটি। ১৬০২ সালে নাটকটি মঞ্চায়িত হয়েছিল। বাক্যাংশটি দিয়ে তিনি উপহাস করা বুঝিয়েছিলেন।
×