ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাবি শিক্ষক শফিউল হত্যা মামলায় যুবদল নেতা উজ্জ্বলের আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২৮ এপ্রিল ২০১৬

রাবি শিক্ষক শফিউল হত্যা মামলায় যুবদল নেতা উজ্জ্বলের আত্মসমর্পণ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর অবশেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি রাজশাহী মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মোকসেদা আজগরের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ঘটনার পর থেকে উজ্জ্বল পলাতক ছিলেন। গত বছরের ৩০ নবেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসরিন আখতার রেশমার সঙ্গে শিক্ষক শফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জের ধরেই হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এতে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আব্দুস সামাদ পিন্টু, আরিফুল ইসলাম মানিক, সিরাজুল ইসলাম, সবুজ, আল মামুন, আরিফ, সাগর, জিন্নাত আলী, ইব্রাহিম খলিল ও নাসরিন আখতার রেশমাকে আসামি করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৫ নবেম্বর দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে নৃশংসভাবে খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক একেএম শফিউল ইসলাম লিলন। ঘটনার ৫ ঘণ্টার মাথায় ফেসবুকে পেজে হত্যার দায় স্বীকার করে স্ট্যাটাস দেয় জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলাম বাংলাদেশ-২। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৩ নবেম্বর এই হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ পিন্টুসহ ৬ জনকে আটক করে র‌্যাব। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আখতার রেশমাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে রেশমা আাদলতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। তবে এই মামলার মূল পরিকল্পনাকারী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল পলাতক ছিলেন।
×