ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে বাংলাদেশে সফরে রাজি অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৮ এপ্রিল ২০১৬

অবশেষে বাংলাদেশে সফরে রাজি অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী বছর বাংলাদেশে খেলতে রাজি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে এখানেও নিরাপত্তা শর্ত জুড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। আগামী বছর জুলাই অথবা সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে চায় অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশের মাটিতে। গত বছর অক্টোবর এক টেস্ট যে বাংলাদেশে খেলার কথা ছিল, সেটি নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে খেলেনি অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচটিই এখন খেলতে চায় সিএ। তবে এখানেও ফাঁকফোকর রেখে দিয়েছে। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে গত বছর বাংলাদেশ সফর থেকে বিরত ছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। স্থগিত সেই সফর পুষিয়ে দিতে আগামী বছর বাংলাদেশ সফরের চিন্তা করছে অস্ট্রেলিয়ানরা। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের (সিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস সাদারল্যান্ড দেশটির সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী বছর আন্তর্জাতিক ব্যস্ততার ফাঁকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সিরিজটি খেলতে চান তারা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি থাকছেই। অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকদের সাদারল্যান্ড বলেছেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে স্থগিত এই সিরিজটির বিষয়ে আলোচনা করেছি আমরা। তারা (বিসিবি) জানে এবং বুঝতে পারছে যে আমরা বাংলাদেশ সফরের জন্য সত্যিই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে নিশ্চিতভাবেই এই সফরের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত নিশ্চয়তা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ সফরে এবং সেখানে ক্রিকেট খেলতে আমরা আন্তরিকভাবেই চেষ্টা করছি।’ গত বছর এ্যাশেজ সিরিজ (অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড ঐতিহ্যবাহী টেস্ট সিরিজ) শেষে টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে সফর স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়ানরা। তাদের যুব দলকেও যুব বিশ্বকাপে খেলতে পাঠায়নি। সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এরপর গত একদশকে এই দুইদেশের মধ্যে গুটি কয়েক ওয়ানডে ম্যাচ হলেও কোন টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়নি। সফরের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ানরা বারবার নিরাপত্তার অজুহাত তোলায় আদৌ সামনের বছর তা হবে কি না এ নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কেননা, ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা বলা মুশকিল। এখানে নিরাপত্তার বিষয়টি ছাড়াও ফাঁকফোকর আছে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড বলছে, জুলাই কিংবা সেপ্টেম্বরে খেলতে পারে তারা। জুলাইয়ে বাংলাদেশই খেলতে পারবে কিনা নিশ্চিত নয়। কারণ, পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে, টি২০ সিরিজ রয়েছে তখন। সেপ্টেম্বরে ফাঁকা সময় আছে প্রতিটি দলেরই। কিন্তু সেই সময়ের আগে যতদূর সিএ’র ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ রয়েছে। মাঝখানে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে অক্টোবরেই আবার ভারতের মাটিতে খেলতে হবে। নবেম্বরে হবে এ্যাসেজ। যে সিরিজটি অস্ট্রেলিয়ার জন্য যে কোন সিরিজের চেয়ে মূল্যবান সিরিজ। এমন অবস্থায় টানা উপমহাদেশের মাটিতে যদি পড়ে থাকে অস্ট্রেলিয়া, সেক্ষেত্রে এ্যাসেজে এর প্রভাব পড়তে পারে। এরসঙ্গে আবার টানা খেলার মধ্যে থাকলে বিশ্রাম না নিলে এ্যাসেজে বিপদেও পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়া। তাই সবহিসেব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বোধহয় এবারও বাংলাদেশকে আগের মতোই শুধু আশ্বাস দিয়েছে। যার সঙ্গে আবার নিরাপত্তা অজুহাতের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।
×