ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সঞ্জয় দেবনাথ

বিপর্যয়ের শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৮ এপ্রিল ২০১৬

বিপর্যয়ের শঙ্কা

ভূমিকম্প যখন হয় তখন বোধহয় জোট বেঁধেই হয়। ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে হওয়ার পর, জাপান ইকুয়েডরে হলো আরো শক্তিশালী ভূমিকম্প। ইকুয়েডরে শত শত মানুষ মারা গেল। জাপান ভূমিকম্পের দেশ বলে খ্যাত। জাপানীরা ভূমিকম্পের সঙ্গে পরিচিত। আগে কালে ভদ্রে হলেও এখন কিছুদিন পরপরই কেঁপে উঠছে ভূমি। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে সিলেট, ঢাকা, চট্টগ্রাম। এ তিনটিই আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। অনেক বহুতল ভবন আছে এখানে। শত মাইল দূরে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাবে আমাদের দেশে বহুতল ভবন হেলে পড়ে, ফাটল ধরে। যদি আমাদের এখানেই সৃষ্টি হয় তেমন ভূমিকম্প তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে তা ভাবতে গেলেই রোম খাড়া হয়ে যায়। বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশের বেশিরভাগ বহুতল ভবন ভূমিকম্প সহনীয় নয়। যারা বহুতল ভবনের ভিতরে আছে তারা ভূমিকম্পের সময় নিচে নামতে নামতেই ভূমিকম্প শেষ হয়ে যায়। অযথা হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকেই আহত হন। ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতনতার অভাবেই এমনটা হয়। এজন্য সচেতনতা জরুরী। কী করা যাবে, কী করা যাবে না ভূমিকম্পের সময় তা সবাইকে জানানো জরুরী। ধর্মীয় ব্যক্তিবর্গ এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে পারেন। মসজিদের খতিব বা মন্দিরে পুরোহিতরা এটা নিয়ে জনসাধারণকে সজাগ করতে পারেন। জান বাঁচানো ফরজ। এইডস বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালাও ইতোমধ্যে ইমামদের নিয়ে সংগঠিত হয়েছে। এতে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। ভূমিকম্পের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করার ব্যাপারেও এ ধরনের কর্মসূচীর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। আর ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানার আইন মানতে শক্ত অবস্থানে যাওয়ার বিকল্প নেই। ভূমিকম্প একটি মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সবাই সচেতন হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই। ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম থেকে
×