ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমিকম্প হলেই আতঙ্ক!

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৮ এপ্রিল ২০১৬

ভূমিকম্প হলেই আতঙ্ক!

মিনহাজুর রহমান ভূঁঞা সাম্প্রতিক সময়ের আতঙ্কিত এক নাম ভূমিকম্প। অতি সম্প্রতি শক্তিশালী কম্পনে শঙ্কিত হয়ে উঠল দেশের মানুষ। প্রবল ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠল বাংলাদেশ। ভূমিকম্পের দুলুনি আর ঝাঁকুনিতে আমরা এতটাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি যে, সতর্কতা তো নয় বরং আতঙ্কিত হয়ে হুড়াহুড়ি শুরু করি। মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়িত্বের কম্পনে আমরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে গিয়ে, অনিরাপদ পন্থা অবলম্বন করে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার শিকার হই। এই আতঙ্ক আর অহেতুক হুড়াহুড়ি না করে যদি এই সময়টা মানসিক শক্তি নিয়ে ভূমিকম্প মোকাবেলা করা যায়, তাহলে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা কমে আসবে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভূমিকম্পের সময় এই মানসিক শক্তির উৎস কোথা থেকে হবে? এই ক্ষেত্রে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, সরকারের যে কোন সভা সেমিনারে কিছু সময় নির্ধারণ করা যখন ভূমিকম্পের সময় এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা, গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন এবং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, ওয়ার্ড কমিশনার, কাউন্সিলরদের দিয়ে প্রচারপত্র বিলি কিংবা গ্রাম, পাড়া মহল্লার প্রত্যেক মানুষের কাছে একটি ধারণা পৌঁছে দেয়া যে, ‘ভূমিকম্পের সময় করণীয় কি’। ভূমিকম্পের পর আমাদের উদ্ধার করতে যারা আসবে, তারাও ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ ছিল সেই বিশ্বাসের পুঁজি কোথায়? অর্থাৎ উদ্ধারকর্মীরা যে ভবন থেকে আসবে, সেই ভবন ভূমিকম্প রোধক কি না জানি না। শুধু তাই নয়, উদ্ধার করে কোথায় নিবে? হাসপাতালে? বর্তমানে কয়টা হাসপাতাল ভূমিকম্প রোধক? অর্থাৎ কিছু স্থায়িত্ব নিয়ে ঝাঁকুনি দিলে কয়টা হাসপাতাল সেবা দেয়ার মতো উপযুক্ত থাকবে, তা সংশয়; আবার এত হতাহতের চিকিৎসা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ থাকবে কিনা, সন্দেহ। ওষুধের উৎস, তৈরির স্থান। ভূমিকম্প রোধক হলেও ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ রাখতে পারবে কি না, তা ভাবার বিষয়। তিন বছর আগের রানা প্লাজা ধসের কথা কেউ ভুলিনি। পুরো বাংলাদেশে এক রানা প্লাজা ধসে যাওয়াতে তা উদ্ধার করতে আমাদের যেই চিত্র দেখতে হয়েছে আর ভূমিকম্প হলে তো বহু ভবনের ধস হবে, তখন উদ্ধার কাজ কিভাবে কি হবে- তা গভীরভাবে ভাবতে হবে। পশ্চিম রেইসকোর্স, কুমিল্লা থেকে
×