নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে বুধবার ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পিতা নিহত এবং তার তিন ছেলে আহত হয়েছে। এছাড়াও অপর ঘটনায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। অপরদিকে পুলিশ এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে।
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের ধনঞ্জয়খালি এলাকায় বুধবার সকালে তিন ছেলেকে নিয়ে জমির পাকা ধান কাটতে যায় আব্দুল গফুর। এসময় একই এলাকার সবদুল, বাবুল, রহিজ উদ্দিন গংরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখানে যায় এবং ধান কাটতে বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন আব্দুল গফুর (৬৫) এবং আহত হয় আব্দুল গফুরের তিন ছেলে শিক্ষানবীশ আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম (৩৫), আব্দুলাহ আল মামুন (৩০) ও আল আমিন (২৫)। আহতদের শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রহিজ উদ্দিনের স্ত্রী রুমা আক্তারকে আটক করে পুলিশ। মৃত গফুর মিয়া ওই এলাকার ইনসাফ আলীর ছেলে।
এছাড়া একইদিন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার গজারী বনের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কোন এক সময় চন্দ্রা বনবিট এলাকার নির্জন মাঠের পাশে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় র্দূবৃত্তরা। নিহতের মাথার পিছনে গভীর কাটা দাগ ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে এক টুকরা রড উদ্ধার করেছে পুলিশ। আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সের ওই ব্যাক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতের পরনে সাদা সার্ট ও লুঙ্গি ছিল।
এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকায় ঘরের ধর্ণার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো এক সন্তানের জননী শাহনাজ বেগমের (২৯) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা দাবী করেছে। এঘটনায় নিহতের স্বামী নজরুল ইসলাম গাজীকে (৩২) আটক করা হয়েছে। তারা স্থানীয় সুলতানের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। নিহত শাহনাজ সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার সিকদারপুর গ্রামের ফজর গাজীর মেয়ে এবং নজরুল খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার হাসিবপুর গ্রামের খান জাহান আলী গাজীর ছেলে এবং স্থানীয় এ্যারাবিয়ান কারখানার কর্মী।
পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।