ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এএফসি কাপ, শেখ জামাল ৩-২ টেম্পাইন রোভার্স

টেম্পাইনের বিরুদ্ধে দারুণ জয় শেখ জামালের

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

টেম্পাইনের বিরুদ্ধে দারুণ জয় শেখ জামালের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দলের অবস্থা ভঙ্গুর। শক্তি ক্ষয়িষ্ণু। কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক আগেরদিন বলেছিলেন, ম্যাচটা ড্র করতে পারলেই খুশি হবেন তিনি। খেলোয়াড়দের মনের জোরের কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরদিন তার দল মনের জোর দিয়েই ম্যাচটি জিতেই যাবে, এতটা কি আশা করতে পেরেছিলেন তিনি? হ্যাঁ। ‘এএফসি কাপ’-এ শেখ জামাল জিতেছে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘হোম’ ম্যাচে (গ্রুপ ‘ই’) তারা ঘাম ঝরিয়ে ৩-২ গোলে হারিয়েছে সিঙ্গাপুরের টেম্পাইন রোভার্সকে। অথচ এ্যাওয়ে ম্যাচে তাদের কাছেই জামাল বিধ্বস্ত হয়েছিল ৪-০ গোলে। পাঁচ ম্যাচে এটাই প্রথম জয় জামালের। পয়েন্ট ৩ হলেও এখনও পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই রয়ে গেছে তারা। মামুনুল ইসলামসহ আট ফুটবলার হারানোর পর বিধ্বস্ত অবস্থায় শেখ জামাল। সেটাও কঠিন হয়ে পড়েছে চোটের হানায়। এমনিতেই দলের ডিফেন্স লাইনআপ নিয়ে ভুগছে শেখ জামাল। সমস্যা মিডফিল্ডেও। নির্ভরযোগ্য তিন ফরোয়ার্ডের মধ্যে এমেকা ডার্লিংটন ও ওয়েডেসন এ্যানসেলমে ইনজুরিতে। সেলানগোর এফএ’র বিপক্ষে ম্যাচে লালকার্ড পাওয়ায় এ ম্যাচে খেলতে পারেননি ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান। মিডফিল্ডার জামাল ভুঁইয়াকেও পাওয়া যায়নি। জামালকে ম্যাচে জিততে হয়েছে ধার করে অন্য ক্লাব থেকে খেলোয়াড় এনে। এরা হলেন আবাহনী লিমিটেডের ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজু। উল্লেখ্য, ম্যাকাওয়ের বেনফিকা ও স্বাগতিক কিরগিজ ক্লাব এফসি আলগাকে টপকে এ আসরের প্লে-অফের ছাড়পত্র পেয়েছিল শেখ জামাল। বেনফিকা ডি ম্যাকাও ক্লাবকে ৪-১ গোলে এবং আলগার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। এএফসি কাপের প্লে-অফ বাছাইয়ে খেলেছিল জামাল। কিরগিজস্তানের বিশকেকে ম্যাচ ড্র করে তা উতরে যায়। পরবর্তিতে ভাগ্যগুণে প্লে-অফ খেলতে হয়নি। সরাসরি চূড়ান্ত পর্বে। ১৯ মিনিটে জুয়েল রানার ক্রসে বক্সে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন ওয়েডসন, কিন্তু অল্পের জন্য বল জড়ায়নি জালে। তবে ওয়েডসনের আফসোসটা পরের মিনিটেই ঘুচিয়েছেন তার সতীর্থ। এমেকার হেডে বক্সে বল পেয়ে পোস্টে প্লেসিং করেন ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে (১-০)। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ম্যাচে সমতা আসে। ট্যাম্পাইন রোভার্সের ফরোয়ার্ড পেনান্টের নিখুঁত কর্নারে জোরালো হেডে জামালের জাল কাঁপিয়েছেন অধিনায়ক মুস্তাফিজ (১-১)। ৫৬ মিনিটে এনামুলের থ্রু পাসে বল পেয়ে বক্সে ঢুকেছিলেন ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে। তাকে আটকাতে গিয়ে বক্সে ফেলে দেন মুস্তাফিক। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। এমেকার শট জড়ায় জালে (২-১)। ৭০ মিনিটে আবারও ম্যাচে সমতা আসে। এবার গোল করেন ট্যাম্পাইনসের ফরোয়ার্ড বিল্লি মেহমেত (২-২)। ৮২ মিনিটে বক্সে ঢুকে দর্শনীয় শটে বল জালে পাঠান ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে (৩-২)।
×