ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সালাউদ্দিনের সমর্থনে আজ সরে দাঁড়াতে পারেন হেলাল

সালাউদ্দিনের প্যানেল পরিচিতি আজ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

সালাউদ্দিনের প্যানেল পরিচিতি আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক সময়কার মাঠ কাঁপানো ফুটবলার ছিলেন গোলাম রাব্বানী হেলাল। ১৯৮২ সালে আবাহনীতে খেলার সময় ক্লাবটির যে চারজন ফুটবলারকে অন্যায়ভাবে জেল খাটতে হয়েছিল, তাদের মধ্যে কাজী মোঃ সালাউদ্দিন এবং গোলাম রাব্বানী হেলাল। দু’জনের মধ্যে ছিল দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। অথচ সময়ের পরিক্রমায় বন্ধুই হয়ে যায় বাফুফে নির্বাচনে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী! তবে প্রতিদ্বন্দ্বী পরিচয়টা মুছে যাচ্ছে অচিরেই। শোনা যাচ্ছে হেলাল আসন্ন নির্বাচনে তার বন্ধু সালাউদ্দিনের পক্ষে ভোট চাইবেন ডেলিগেটদের কাছে। অর্থাৎ নিজের জন্য না, তিনিও এখন শামিল হবেন সালাউদ্দিনের প্যানেলে। মঙ্গলবার বাফুফে ভবনে এমনটাই জানান সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। তিনি আরও জানান, বুধবার সকালে হেলাল সালাউদ্দিনের গুলশানের বাসায় গিয়ে সালাউদ্দিন প্যানেলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে একাত্মতা প্রকাশ করবেন। তাছাড়া আজ সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল পরিচিতি সভা। অবশ্য ক’দিন ধরেই বাতাসে গুজব ভেসে বেড়াচ্ছিল, হেলাল শেষ পর্যন্ত সালাউদ্দিনেরই পক্ষ অবলম্বন করতে পারেন। কেননা হেলালই মন্তব্য করেন, ‘সরে যাওয়ার চিন্তা এখনও নেই। অনেকে কথা বলার চেষ্টা করছে। তবে শেষ পর্যন্ত সমর্থন দিতে হলে সালাউদ্দিন ভাইকেই দেব, কোনভাবেই কামরুল আশরাফ পোটনকে নয়।’ উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত বাফুফের নির্বাচনে হেলাল হচ্ছেন সভাপতি পদে দাঁড়ানো তিনজনের একজন। কেননা আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান এবং সমর্থন দেন পোটনকে। যেখানে কাজী মোঃ সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বীই এমন কথা বলেন, সেখানে এটা পরিষ্কার অনুধাবন করা যায়Ñ আসন্ন নির্বাচনে বাফুফের বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিনের অবস্থানটা কোথায় বা কেমন পর্যায়ে। এক কথায় বলা যায়, নির্বাচনের পাল্লা এখনও ঝুলে আছে সালাউদ্দিনের দিকেই। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদের যেখানে পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাঁচাও ফুটবল পরিষদের কিন্তু পূর্ণ প্যানেল নেই, সদস্য পদে বরং দু’জন প্রার্থীই কম আছে। নির্বাচন মানেই উত্তপ্ত আবহ, নির্বাচন মানেই শোরগোল, তুমুল আলোচনা। কিন্তু যতই সময় গড়াচ্ছে, ততই যেন নির্বাচনী হাওয়া কমে আসছে। একদিকে যেমন সালাউদ্দিন প্যানেল তুমুল সক্রিয়, তেমনি অপরদিকে বাঁচাও ফুটবল প্যানেল অনেকটাই নিষ্ক্রিয়! তারা তো সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেই নিজেদের তিন প্রার্থীর নাম প্রত্যাহার করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতিয়ে দিয়েছে সম্মিলিত পরিষদের আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে। ফলে সালাউদ্দিনের প্যানেল যেমন অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে, তেমনি বাঁচাও ফুটবল প্যানেল ততটাই চলে গেছে ব্যাকগিয়ারে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায়ও অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছেন সালাউদ্দিন এবং তার প্যানেল। নির্বাচন উপলক্ষে ভোট পাবার জন্য গত কয়েকদিনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়িয়েছেন তিনি। অন্যদের চেয়ে প্রচার অভিযান অনেক আগেই শুরু করেছেন সালাউদ্দিন এবং ডেলিগেটদের সঙ্গে যোগাযোগ-সম্পর্কটাও অন্যদের চেয়ে তারই বেশি। সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছে ফোরাম। বাফুফের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটের সংখ্যা ১৩৪। এর মধ্যে ফোরামের ভোটই ৬৭। তার মানে মোট ভোটারের অর্ধেক ভোটারই ফোরামের। ফোরাম প্রধান আ জ ম নাছির অনেক আগেই সমর্থন করেছেন সালাউদ্দিনের প্যানেলকে। নির্বাচনী প্রচার অভিযানে সালাউদ্দিন সোমবার অবস্থান করেন চট্টগ্রামে। সেখানে তিনি ফোরামের সঙ্গে জনসংযোগ করেন।
×