ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিরল প্রজাতির জোড়াফুল

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

বিরল প্রজাতির জোড়াফুল

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মহাজনবাড়ি নামে এলাকায় ব্রিটিশ আমল থেকে পরিচিত। আছে পুুরনো ভবন, সিঁড়িবাঁধা ঘাটসহ অনেক কিছু। এক সময় সিন্দুক, বন্দুকও ছিল। এ বাড়িকে ঘিরে আছে নানা রহস্য। ধনের মাইঠ, গুপ্ত ধন আছে বলেও ওই বাড়ি ঘিরে এখনও নানা কল্পকাহিনী শোনা যায়। এ বাড়িতে সর্পদেবী মনসার উপস্থিতি আছে বলেও মনে করেন অনেকে। ধর্মীয় নানা বিশ্বাস নিয়ে বংশপরম্পরায় চলে আসছে মহাজনবাড়ির লোকজন। এমন অবস্থায় কয়েক বছর ধরে ওই বাড়িতে বিরল প্রজাতির দুটি ফুল ফুটতে দেখা যাচ্ছে। বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় ফুল দুটি ফুটে থাকে। খয়েরি রঙের পাপড়ি মেলে ফোটা বিশাল আকৃতির এ ফুল নিয়ে এলাকাবাসীর কৌতূহলের শেষ নেই। কেউ কেউ অলৌকিক ফুল বলতেও ছাড়ছেন না। প্রতিদিন এ জোড়াফুল দেখতে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন মহাজনবাড়িতে। বিরল এ ফুল ফুটেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সুরশাইল গ্রামের ত্রৈলখ্য মহাজনের বাড়িতে। বাড়ির অনেকের ধারণা এটা কোন সাধারণ ফুল নয়। এটির মধ্যে কোন রহস্য আছে। অলৌকিক শক্তি রয়েছে ফুলের মধ্যে এমন ধারণা বাড়ির লোকজনের। এ ফুলের ওপর দেব-দেবী ভর করেছে বলেও ধারণা অনেকের। ফলে ফুল দুটির অনিষ্ট করা থেকে সকলে দূরে থাকেন। মহাজনবাড়ির প্রবীণ বিমল বিশ্বাস জানান, ৪-৫ বছর ধরে তাদের বাড়িতে উঠানের পাশে বছরের এই সময়টায় এই জোড়াফুল দুটি পাশাপাশি ফুটে আসছে। বাড়ির কেউ এটির অনিষ্ট করে না। কেননা, তাদের বিশ্বাস এটি কোন সাধারণ ফুল নয়। এর সঙ্গে অলৌকিক কিছু যুক্ত থাকতে পারে। তাদের বাড়িতে বহু বছর ধরে বিভিন্ন পূজা অর্চনা করে আসছেন। ফলে ফুলের প্রতি তাদের অন্য রকম ভাললাগা রয়েছে। ফুল দুটি কয়েক দিনের জন্য ফোটে। এর পর আর বছরের অন্য কোন সময় দেখা যায় না। এ ছাড়া মহাজনবাড়ির এক গৃহবধূ তাপসী বিশ্বাস জানান, জীবনে অনেক ফুল দেখেছি। তবে এমন বিরল ফুল কখনও চোখে পড়েনি। মাটি ফুঁড়ে একই সঙ্গে বের হয়ে পাশাপাশি ফুটেছে ফুল দুটি। মাটি থেকে ৫-৬ ইঞ্চি উপরে পাপড়ি মেলে ফুটেছে ফুল দুটি। দেখতেও দারুণ! এটি ভাববার বিষয়। তাদের বাড়িতে অনেককে মৃত্যুর পর সমাধি দেয়া হয়েছে এখানে। আর সেই সমাধির পাশে ফুটছে ফুল দুটি। এতে তাদের মধ্যে এক ধরনের অন্ধ বিশ্বাস কাজ করছে বলেও জানান। ফলে ওই স্থানের যথাযথ মর্যাদা বজায় রাখা হচ্ছে।
×