ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে প্রশ্নোত্তর

দেশে ৩৪ লাখ কর্মজীবী শিশু রয়েছে

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

দেশে ৩৪ লাখ কর্মজীবী শিশু রয়েছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে ৫ থেকে ১৭ বয়সী সাড়ে ৩৪ লাখ কর্মজীবী শিশু রয়েছে। শিশু শ্রম রোধে বর্তমান সরকার জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতি-২০১৩ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর প্রশ্নের জবাবে সংসদে এ তথ্য জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ শিশু শ্রম ও অন্যান্য শিশু শ্রম থেকে দেশের শিশুদের রক্ষা এবং তাদের কল্যাণের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০০৫ সাল জুন ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের ৩টি পর্যায়ে মোট ৯০ হাজার শিশু শ্রমিককে ১৮ মাসব্যাপী উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ও ৬ মাসব্যাপী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মক্ষম করে তোলা হয়েছে। এভাবে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হতে বের করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। স্বামীসহ বিদেশ যেতে পারবে নারী শ্রমিক ॥ একজন নারী শ্রমিক তার স্বামী, নিকটাত্মীয়, ভাই, সন্তান নিয়ে সৌদি আরবে যেতে পারবেন বলে সংসদে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগমের সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, নারী শ্রমিকরা বিদেশ থেকে দেশে আসার পর তার সংসার ভাঙছে, স্বামী অন্য আর একটি বিয়ে করে সংসার করছে। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নারী শ্রমিকের সঙ্গে তার স্বামীকেও একই দেশে পাঠিয়ে নারী শ্রমিকের গৃহকর্মের পাশাপাশি স্বামীকে মালির কাজ দেয়া যায় কি না? জবাবে মন্ত্রী জানান, শুধুমাত্র সৌদি আরবে নারী শ্রমিক তার স্বামী, সন্তান ভাইকে নিয়ে যেতে পারবে। আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিএমইটির ডাটাবেজ চালুর পর সার্ভারের তথ্যানুযায়ী ২০০৪’র ১৫ জুন থেকে ২০১৬’র ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬২৩ জন বাংলাদেশী নারী শ্রমিক বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়ে ৬৮টি দেশে গমন করেছেন। এর মধ্যে সর্বাধিক এক লাখ নারী শ্রমিক গেছেন লেবাননে। তিনি জানান, মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে এ পর্যন্ত ৫টি সেইফ হোম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়া সৌদি আরবগামী নারী কর্মীদের সে দেশে ব্যবহারের জন্য একটি সিম প্রদান করা হয়েছে।
×