ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোটরসাইকেল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির দাবি এমএমইএবি’র

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৭ এপ্রিল ২০১৬

মোটরসাইকেল আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির দাবি এমএমইএবি’র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশীয় মোটরসাইকেল শিল্প রক্ষা এবং বিকশিত করতে আমদানি করা মোটরসাইকেলের ওপর শুল্ক (সম্পূরক শুল্ক) বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টারস এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এমএমইএবি)। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর সম্মেলন কক্ষে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব করা হয়। এমএমইএবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে দেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেল মোট বাজারের প্রায় ২৫ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু মোটরসাইকেল আমদানির মাধ্যমে সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চলছে। এজন্য আমদানি করা মোটরসাইকেলের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির দাবি জানানো হচ্ছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি সম্পূর্ণ মোটরসাইকেল উৎপাদনে অসংখ্য যন্ত্রাংশের প্রয়োজন। অর্থনৈতিক ও গুণগতমান রক্ষায় এককভাবে কোন প্রতিষ্ঠান এ সকল যন্ত্রাংশ উৎপাদন করতে পারে না। তাই এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত যন্ত্রাংশের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করতে বিদেশী কোম্পানিগুলোর নানা কৌশল উল্লেখ করে বলা হয়, কোন পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি পেলে স্বাভাবিক নিয়মে পণ্যের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু মোটরসাইকেল আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি পেলেও আমদানিকৃত মোটরসাইকেলের দাম না বেড়ে বরং আগের চেয়ে ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা কমমূল্যে বাজারজাত করা হচ্ছে। অন্যদিকে, রফতানিকারক দেশগুলো ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আমদানি শুল্ক হার বৃদ্ধি পাওয়ার পর ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম মূল্যে মোটরসাইকেল রফতানি করছে। এদিনের প্রাক বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান। ‘ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার’ প্রযুক্তির ফ্রিজ বাজারে এনেছে ওয়ালটন অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বের সর্বশেষ ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ বাজারে আনল ওয়ালটন। ওয়ালটন যার নাম দিয়েছে ‘ইন্টিলিজেন্ট ইনভার্টার’। এই প্রযুক্তি ফ্রিজের বিদ্যুত খরচ কমাবে ব্যাপকভাবে। বাড়বে ফ্রিজ ও কম্প্রেসারের স্থায়িত্ব। ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসার ব্যবহারের ফলে ইউরোপ আমেরিকার স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছল ওয়ালটন। ইনভার্টার প্রযুক্তির ৮টি মডেলের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে এই দেশীয় ব্র্যান্ড। বাজারজাতকৃত এই ফ্রিজগুলো হচ্ছে ৩২৩ লিটার, ৩৪৮, ৩৮৬, ৩৯৬, ৪৩০, ৫১২, ৫২৬ ও ৫৮৫ লিটার ধারণক্ষমতার। এর মধ্যে তিন দরজা বিশিষ্ট ৫২৬ লিটারের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজটি ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামী জুনের মধ্যে ইনভার্টার প্রযুক্তির আরও ৭টি মডেলের নো-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হবে। ওয়ালটন সোর্সিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, ইনভার্টার প্রযুক্তির নো-ফ্রস্ট ফ্রিজগুলো সাধারণ ফ্রিজের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুত সাশ্রয়ী।
×