ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে প্রশ্নোত্তর

দেশে বছরে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমছে

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

দেশে বছরে ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ নানান ধরনের দরিদ্রবান্ধব কর্মসূচী ও পরিকল্পনা নেয়ার কারণে দেশে প্রতিবছর ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমে আসছে। এরপরও প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নদী ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন কারণে জনসংখ্যার একটি অংশ এখনও দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল)। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার নানা ধরনের দরিদ্রবান্ধব কর্মসূচী ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় দেশে দারিদ্র্যের হার বহুলাংশে কমে এসেছে। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য আগের তুলনায় কমেছে। দেশের সর্বস্তরের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। সরকারের সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রতিবছর প্রায় ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ হারে দেশে দারিদ্র্য কমে আসছে। দেশের প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই আমরা বলছি এবার আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৫ ভাগ অর্জিত হবে। বিশ্বব্যাংকসহ দাতা সংস্থাগুলো অনেক সময় প্রবৃদ্ধি নিয়ে কিছুটা অনুমাননির্ভর তথ্য দেয়। তিনি বলেন, গত বছরও বিশ্বব্যাংক বলেছিল আমাদের প্রবৃদ্ধি ৬ ভাগের ওপর যাবে না। কিন্তু আমরা তখন বলেছিলাম প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৬ ভাগ হবে, পরে বিশ্বব্যাংক তা মানতে বাধ্য হয়। এবারও বিশ্বব্যাংক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০৫ ভাগই মেনে নেবে। তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক একবারের জন্যও আশঙ্কা ব্যক্ত করেনি যে, প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগের ওপরে যাবে না। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদীর প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার দারিদ্র্য নিরসনে প্রভূত উন্নয়ন করেছে। এরপরও জনসংখ্যার একটি অংশ এখনও দারিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে। কারণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নদী ভাঙ্গন ইত্যাদি বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে কারিগরি প্রশিক্ষণের আওতায় এখনও আনতে না পারায় জনসংখ্যার একটি অংশ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে। কারিগরি প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণ করে কর্মস্থানের ব্যবস্থার মাধ্যমে তাদের দারিদ্র্য সীমার ওপরে আসার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, বর্তমান সরকার জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের আওতায় মোট ২৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্পৃক্ত করে ১৪২টি কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বিপরীতে চলমান কর্মসূচীর অনুকূলে গত অর্থবছরে ৩০ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। চলতি ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এ বরাদ্দের পরিমাণ ৩৭ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা।
×