ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহারে আজ মালিক শ্রমিক বৈঠক

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহারে আজ মালিক শ্রমিক বৈঠক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারের বেঁধে দেয়া ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও ধর্মঘট প্রত্যাহারে একমত হতে পারেনি নৌযান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। পণ্যবাহী নৌযানে ধর্মঘট চলায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে। টানা ছয় দিনের নৌযান ধর্মঘটে দুই বন্দরে জাহাজের জট লেগেছে। শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টার পর ফের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সারাদেশের নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ধর্মঘট প্রত্যাহারে মালিক শ্রমিকদের নিয়ে জরুরী বৈঠক আহ্বান করেছে। নৌযান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ দাবি করছেন ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা না দিলে এবার ধর্মঘট প্রত্যাহার করবে না তারা। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময় দিয়ে বেতন বৃদ্ধি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব শ্রমিকরা প্রত্যাখ্যান করেছে। শনিবার বিকেলে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মালিক-শ্রমিক বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হতে পারেনি। ওই বৈঠকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হয়। সোমবার পর্যন্ত সরকারের এই আহ্বানে সাড়া দেয়নি নৌযান শ্রমিক সংগঠনগুলো। জানতে চাইলে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম জনকণ্ঠকে বলেন, কর্মবিরতি চলছে। আমরা নিজেদের মধ্যে ফের আলোচনায় বসেছি। তবে এই আলোচনায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কোন সিদ্ধান্ত আসবে না। সরকার আবারও আমাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য বসতে চায়। ওই আলোচনার করণীয় নির্ধারণে আমরা এখন বৈঠক করছি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, নৌযান শ্রমিকরা এখন চার হাজার ১০০ টাকা সর্বনিম্ন বেতন পান। তারা এই বেতন ৮ হাজার ২৫০ টাকা করার দাবি জানাচ্ছে। এর আগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে সর্বসাকল্যে সর্বনিম্ন বেতন সাত হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। মালিকপক্ষ এতে সম্মত না হলে শ্রমিকরা সর্বনিম্ন বেতন সাত হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করে। অন্যদিকে শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে গত শনিবার বৈঠকে মালিকপক্ষ সর্বনিম্ন বেতন ৪ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণে সম্মত হয়। শ্রমিক সংগঠনগুলো তা না মেনে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা দুই পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি মাঝামাঝি একটি অবস্থানে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতে। সেক্ষেত্রে মালিকরা একেবারেই দিতে চায় না আর শ্রমিকরা একবারেই দ্বিগুণ বৃদ্ধির দাবি কোনটিই ঠিক থাকবে না। উভয়পক্ষকে নিজস্ব অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।
×