ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গুনিয়ায় দুজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

রাঙ্গুনিয়ায় দুজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গুনিয়া ২৫ এপ্রিল ॥ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দুজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। রবিবার রাতে সরফভাটা ইউনিয়নের পশ্চিম সরফভাটা গ্রামে এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন বাদশা মিয়ার পুত্র আবুল কাশেম(৩০) ও মৃত মনিরুজ্জামানের পুত্র মোঃ মঞ্জু (২৭)। তারা প্রতিবেশী উকিল আহমদ হত্যা মামলার ১ ও ২ নম্বর আসামি। সোমবার ভোরে পুলিশ কাইন্দারপাড় সড়ক এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পুলিশ। জানা গেছে, পশ্চিম সরফভাটা গ্রামের আবুল কাশেম ও মোঃ মঞ্জুকে প্রতিপক্ষের লোকজন রবিবার রাত ১১টায় কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে গুলি করে ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তাদের। হত্যার পর লাশ সড়কের মাঝখানে রেখে পালিয়ে যায়। গোলাগুলির শব্দে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে বের হয়ে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত মঞ্জুর মা লায়লা বেগম (৫৫) জানান, ওসমান ও তোফায়েলরা বিনা দোষে আমার ছেলেকে হত্যা করে। তিনি পুত্র হত্যার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। নিহত কাশেমের ছোট ভাই মোঃ তৈয়ব জানান, ওসমান গং তার ভাইকে খুন করেছে। থানায় মামলা করলে তাদেরও হত্যা করবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির জোড়া খুনের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পাহাড়ের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। নিহত দুই জন একই এলাকার অন্য একটি হত্যা মামলার ১ ও ২ নম্বর আসামি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। খুনের বদলায় খুন ॥ কিলিং জোন হিসেবে খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার পশ্চিম সরফভাটা গ্রামে বদুনী বাপের বাড়ি ও পার্শ্ববর্তী গঞ্জম আলী সরকারের বাড়ির পশ্চিম সরফভাটা খামারবাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধে ইতোমধ্যে ৮ জন খুন হয়েছে। কোন হত্যা মামলার কুলকিনারা না হওয়ায় বার বার ট্রিপল ও ডাবল মার্ডারের মতো ঘটনা ঘটছে বলে জানান স্থানীয়রা। সরফভাটা ইউনিয়নের পাহাড়বেষ্টিত এ গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ১৯৯৩ সালে প্রথম খুন হন আবুল হোসেন সওদাগর (৪০)। এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ায় এক সঙ্গে তিন সহোদর মোঃ জসিম (৩০), মোঃ আনোয়ারুল আলম (৩২) ও সফিউল আলমকে (৩৯) দিনদুপুরে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রবাসী মোঃ ইদ্রিছকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। গত ১ মার্চ পশ্চিম সরফভাটা গঞ্জম আলী সরকারের বাড়ির আবুল কালামের পুত্র উকিল আহমদ (৫৫) ও তার পুত্র মেঃ ইসমাইল (১৬) জঙ্গল সরফভাটা গ্রামের কালিছড়ি সেগুন বাগানে গেলে সেখানে প্রতিপক্ষরা উকিল আহমদকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার জের ধরে রবিবার রাতে মোঃ আবুল কাশেম ও মোঃ মঞ্জুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
×