ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৫ নম্বরে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৫ নম্বরে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ানডে ক্রিকেটে গত বছর শতভাগ সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আর সে সুবাদে নিজেদের সেরা র‌্যাঙ্কিং হিসেবে ৭ নম্বরে উঠে এসেছিল টাইগাররা। নতুন করে আরেকটি সুখবর আসল সোমবার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানালেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) হালনাগাদ করা ওয়ানডের র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ দল। আইসিসির সভা শেষে ফিরে তিনি এ তথ্য জানান সাংবাদিকদের। চলতি বছর কোন ওয়ানডে না খেললেও হালনাগাদ হওয়ার কারণেই ৯৭ রেটিং পয়েন্ট থেকে বেড়ে বাংলাদেশের রেটিং দাঁড়িয়েছে ১০১! তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাটা এখনও আসেনি আইসিসি থেকে। অচিরেই সেটা জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পাপন। এই র‌্যাঙ্কিং ধরে রাখতে পারলে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে বাংলাদেশ দল, খেলতে হবে না বাছাই। পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর বাংলাদেশের পেছনে পড়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের ওপর থাকছে শুধু অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আইসিসির র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদ করার সময় গত এক বছরের ক’টি ম্যাচের শতভাগ পয়েন্ট এবং এর আগের দুই বছরের ম্যাচগুলোর ৫০ শতাংশ পয়েন্ট যুক্ত করা হয়। ২০১৪ সালের পুরোটা সময় হারের বৃত্তে ছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু নবেম্বরে মাশরাফি বিন মর্তুজা দলের নেতৃত্বে আসার পর জিম্বাবুইয়েকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ, ২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা এবং বিশ্বকাপ শেষে এপ্রিলে দুই ক্রিকেট পরাশক্তি পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ ও জুনে ভারতকে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে হারানোর পরই নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা র‌্যাঙ্কিং ৭ নম্বরে উঠে আসে বাংলাদেশ। সেটা ধরে রাখে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে। ফলে ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের হালনাগাদ করা র‌্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বর স্থান ধরে রাখায় ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে টাইগাররা। এ টুর্নামেন্টে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৮ দলই খেলার সুযোগ পায়। সাফল্য এরপরও থেমে থাকেনি বাংলাদেশ দলের। নবেম্বরে জিম্বাবুইয়েকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশের মাধ্যমে শতভাগ সাফল্য নিয়ে বছর শেষ করে। আর সে কারণেই হালনাগাদ করা র‌্যাঙ্কিংয়ে এর মধ্যে না খেলেও রেটিং বেড়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘আমাদের জন্য সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য আইসিসি রবিবার বোর্ড মিটিংয়ে আমাদের কাছে আইসিসির ওয়ানডের বর্তমান র‌্যাঙ্কিংটা প্রকাশ করেছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল আমার ৭ নম্বরে আছি। কিন্তু কালকে (রবিবার) আইসিসি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাঁচ নম্বরে। এই কারণে আমাদের বাছাইপর্ব খেলতে হবে না। কারণ আমাদের পয়েন্ট হচ্ছে ১০১। পাকিস্তানের ৭৯, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮৩। আমাদের থেকে ওদের পয়েন্টে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখন লক্ষ্য এটাকে ধরে রাখা।’ র‌্যাঙ্কিং সেরা আটের মধ্যে ধরে রাখতে না পারলে ২০১৯ বিশ্বকাপ তো বটেই আইসিসির আরও বড় আসরে খেলার জন্য ঝামেলা পোহাতে হবে বাংলাদেশ দলকে। কারণ, ২০১৫ বিশ্বকাপে টেস্ট খেলুড়ে ১০ দল সরাসরি এবং আরও ৪ সহযোগী সদস্য দেশ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০১৯ বিশ্বকাপে শীর্ষ ৮ দল সরাসরি খেলবে। আর র‌্যাঙ্কিংয়ের ৯ ও ১০ নম্বরে থাকলে টেস্ট খেলুড়ে সেই দুটি দলকে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে বাছাই খেলে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন ছিল সেরা পাঁচে ওঠার। সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে। তবে সুবিধার চেয়ে বড় কথা হচ্ছে পারফর্মেন্স। এরপর বিভিন্ন সময় বাছাইপর্ব খেলতে হয়; সেটা আর খেলতে হবে না। এফটিপিতে দলগুলোর সঙ্গে আমাদের খেলা আছে। তার বাইরেও আমাদের অনেক খেলা আসবে।’ বাংলাদেশের ওপরে শুধু এখন অস্ট্রেলিয়া (১২৮), নিউজিল্যান্ড (১১৭), ভারত (১১৫), দক্ষিণ আফ্রিকা (১১৪)। আগেই পিছিয়ে পড়েছিল পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার বাংলাদেশ টপকে যাবে শ্রীলঙ্কা ও ইংল্যান্ডকেও।
×