স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন আবারও পিছিয়ে আগামী ৫ মে পুনর্নির্ধারণ করেছে আদালত। সোমবার রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, মাসুদ হোসেন তালুকদার ও সানাউল্লাহ মিয়া। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল।
এর আগে গত ৭ ও ১৭ এপ্রিল আরও দুই দফা সময়ের আবেদন জানিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে নেন খালেদা জিয়া। সোমবার তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি। তার পক্ষে দিন পেছাতে সময়ের আবেদন জানান আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। পরে মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন পেছানোর জন্য সময় আবেদন গ্রহণ করে আদালত এ আদেশ দেয়।
গত ১৭ এপ্রিল পুলিশের করা মামলায় পুলিশের তদন্ত ডায়েরি (রেকর্ডপত্র ও সিডি) এবং তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণসংক্রান্ত দুটি আবেদন খারিজ করেছে আদালত। একই সঙ্গে খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৫ এপ্রিল নতুন তারিখ ধার্য করে আদেশ দিয়েছিল।
১৭ এপ্রিল খালেদা জিয়ার নিজের সমর্থনে আদালতে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এ মামলায় পুলিশের কেস ডায়েরি (সিডি) তলব এবং তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদকে পুনরায় জেরা করার জন্য আবেদন জমা দেন আদালতে। ওই দিন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিভিশন আপীল করা হবে বলে আদালতকে জানানো হয়। আদালত এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২৫ এপ্রিল দিন নির্ধারণ করে।
দুদকের পক্ষে আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকলীন খালেদা জিয়া এ ট্রাস্ট করেছেন, যা আইনত করা য়ায় না। ট্রাস্টের অর্থ নিজেরা লাভবান হতে ব্যয় ও আত্মসাত করেছেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেনÑ তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: