ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পিএসসির চেয়ারম্যান হলেন ড. সাদিক

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৬ এপ্রিল ২০১৬

পিএসসির চেয়ারম্যান হলেন ড. সাদিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেলেন ড. মোহাম্মদ সাদিক। বর্তমানে পিএসসির সদস্য হিসাবে কর্মরত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক এ সচিবকে চেয়ারম্যান করে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি তাকে ওই পদে নিয়োগ দিয়েছেন। কমিশনের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলে এই নিয়োগ কার্যকর হবে। পিএসসির চেয়াম্যান হিসেবে তিনি ইকরাম আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় ইকরাম আহমেদের চাকরির মেয়াদ গত ১৩ এপ্রিল শেষ হয়। অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকার সময় ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর পিএসসির সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ সাদিক। এর আগে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালের নিয়মিত বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ সাদিক ১৯৫৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে ২০১০ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন বছরেরও বেশি সময় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। খাপড়া ওয়ার্ড দিবস পালিত ২৪ এপ্রিল ছিল ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড দিবস। ১৯৫০ সালের এই দিনে পাকিস্তানী শাসক চক্রের নির্দেশে নিরস্ত্র-অসহায় রাজবন্দীদের ওপর গুলি চালানো ইতিহাসের জঘন্যতম ঘটনাবলীর অন্যতম। অন্য কথায় বলা যায়, সদ্য স্বাধীন একটি দেশে প্রথম জেলহত্যা ছিল এই খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকা-। দিনটিকে স্মরণ করার উদ্দেশে আমিনুল ইসলাম বাদশা ফাউন্ডেশন, আবদুশ শহীদ সংসদদের, প্রসাদ রায় স্মৃতি সংসদ যৌথ উদ্যোগে মুক্তিভবন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় ২৪ এপ্রিল খাপড়া ওয়ার্ড দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকে এ সম্পর্কে একটি অধ্যায় সংযোজনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, ঐক্য ন্যাপ নেতা পংকজ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক এমএম আকাশ প্রমুখ। এ ছাড়া খাপড়া ওয়ার্ডে গুলিবিদ্ধ আবদুশ শহীদের মেয়ে জয়া শহীদ এবং আমিনুল ইসলাম বাদশা ও প্রসাদ রায়ের দৌহিত্র ঋদ্ধ এবং সৌমিক সভায় বক্তব্য রাখেন। তারা এ হত্যাকা-ের বিচারের দাবি জানান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দিবা রায়। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট কামাল লোহানী তার বক্তব্যে বলেন, এদেশের প্রথম জেল হত্যা খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকা-। নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস মনস্ক, সাহসী হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই খাপড়া ওয়ার্ডকে, খাপড়া ওয়ার্ডের নৃশংসতার শিকার অকুতোভয় রাজবন্দীদের গুরুত্বকে তুলে ধরতে হবে। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর সদ্য স্বাধীন পাকিস্তানে ঔপনিবেশিক শাসনের প্রতিবাদ করে কারারুদ্ধ হয়েছিলেন অনেক প্রগতিশীল রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব। তাদের আন্দোলন স্তব্ধ করতে তৎকালীন সরকার রাজশাহীর খাপড়া ওয়ার্ডে রাজবন্দীদের ওপর গুলি চালায়। এতে শহীদ হন দেলোয়ার হোসেন, সুখেন্দু ভট্টাচার্য, হানিফ শেখ, বিজন সেন, আনোয়ার হোসেন, সুধীন ধর ও কম্পরাম সিং। -বিজ্ঞপ্তি
×